মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন

দাগনভুঞায় সিরাজ উদ্দিন দুলালের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সাংবাদিক সম্মেলন

ফেনী প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২

৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার ফেনীর দাগনভুঞা বাজারের স্থানীয় একটি হোটেলে জনৈক সিরাজ উদ্দিন দুলাল কতৃর্ক ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগীরা এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন। উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তভোগী, ভাষা শহীদ সালাম মেমোরিয়াল কলেজের সভাপতি ও দাগনভুঁইয়া বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল কায়েশ রিপন, বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শরীয়ত উল্যাহ ভুঁইয়া ও আমান উল্যাহপুর গ্রামের দারিদ্র বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়া ও ভুক্তভোগী, দাগনভুইয়া বাজারের সাবেক ব্যবসায়ী মরহুম ইয়াসিন সওদাগরের মেঝ ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল কালাম ও ব্যবসায়ী শাহাজাহান শারুর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার ও ব্যাক্তিগন দুলালের প্রতারনার নানা দিক তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে ভাষা শহীদ সালাম মেমোরিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও কার্যনির্বাহী সভাপতি আবুল কায়েশ রিপন লিখিত ও মৌখিক বক্তব্যে বলেন, ২০১৭ সালে একটি কলেজ করবে বলে দাগনভুঁইয়ার কিছু বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের সাথে আলোচনা করলে তখন নানা ছলনা করে আবুল কায়েস রিপনকে বুঝিয়ে বিনা টাকায় ওয়ার্কিং পার্টনার হিসাবে দুলাল যোগ দেয় এবং রিপনকে বুঝাতে সক্ষম হয় যে, কুমিল্লা বোর্ড এ দুলাল গং এর জানা শুনা আছে। সে কলেজের সব ধরনের অনুমোদন এনে দিতে পারবে। এ কথা বলে রিপনের কাছ থেকে অনেক টাকা আদায় করেছে। কলেজের সভাপতি আবুল কায়েস রিপনকে ভবিষ্যতে ব্ল্যাকমেইলিং করার জন্য রিপনের অগোচরে একটি ভুয়া দলিল তৈরী করে যাতে রিপনের কোন স্বাক্ষর নেই এবং দুলাল জাল দলিল তৈরী করতে গিয়ে জমি দানের সন উল্লেখ করেছে ২০১২ সাল। অথচ তখন কলেজ করার কথা কেউ চিন্তাও করেনি। কলেজের প্রথম বছরেই ৪৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ পাশ করায় কলেজটি সর্বমহলে প্রসংশিত হয়েছে। এতে দুলাল গংরা কলেজ বন্ধ ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিকে সরিয়ে কলেজ দখলের যে স্বপ্ন দেখেছিল তা সফল না হওয়ায়, কলেজ সভাপতির বিরুদ্ধে গত ১৩/৩/২০২২ ইং তারিখে কোর্টে একটি মনগড়া মামলা দায়ের করে। ইতিপূর্বে কলেজের সভাপতি আবুল কায়েশ রিপন যখন জানতে পারে দুলাল কলেজের নামে বিভিন্ন জায়গায় টাকা উত্তোলন করছে এবং কলেজের পরিচালক শরিয়ত উল্যাহ ও আবুল কালাম সহ অনেকের সাথে প্রতারণা ও হয়রানিমূলক মামলা করছে তখন কলেজের সুনাম রক্ষার্থে অধিকাংশ পরিচালকের সম্মতিতে রেজুলেশনের মাধ্যমে দুলালকে বহিষ্কার করে। এ ছাড়া ও মোঃ শাহজাহান শারু, দাগনভুইয়া বাজারের ব্যবসায়ী। সরকারি জায়গা দুলালের নিজের বলে শারুর কাছ থেকে ২,০০,০০০/- এডভান্স নিয়েছে। কিন্তু এখন তাকে টাকা ফেরত দিচ্ছেনা বলে তিনি অভিযোগ করেন। আবুল কালাম ও শরীয়ত উল্যাহ ভুঁইয়া এই দুই জনই দাগনভুইঁয়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। ছলচাতুরী করে তাদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাওলাত নিয়ে এখন আর দিচ্ছে না। উল্টো তাদের নামে মামলা করেছে। যে মামলা গুলো আদালতে ভুয়া প্রমানিত হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। আনোয়ারা বেগম নামের আমান উল্যাপুরের বাসিন্দা যার আম্মা জৈতুনের নেসা মেয়েকে ২.৫০ শতক জায়গা দান করেছেন কিন্তু দুলাল সে জমি জাল দলিল করে দখল করে ভোগ করছে। সে ভুয়া দলিলটি আদালতে জাল বলে প্রমানিত হওয়ার পরও দরিদ্র আনোয়ারা বেগম দুলালের হুমকির কারনে দখলে যেতে পারছেনা। আনোয়ার বেগমের মাতা জৈতুনের নেসা মারা যান ১/১২/ ১৯৯২ সালে কিন্তু দুলাল ভুয়া দলিল তৈরী করতে গিয়ে বিক্রেতার স্বাক্ষরে তারিখ উল্লেখ করে ৩০/০১/১৯৯৪ সাল। যা আদালতে ভুয়া প্রমানিত হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। উল্লেখ যে, ভাষা শহীদ সালাম মেমোরিয়াল কলেজটি কুমিল্লা বোর্ড সাময়িক পাঠদানের অনুমোদন দিয়েছে। বোর্ড কলেজটি সাময়িক পাঠদানের অনুমোদনের মাধ্যমে পরিচালনার জন্য রিপনকে সভাপতি করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি করে দিয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার প্রতিনিধিরা ছাড়াও ভুক্তভোগীদের আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাঙ্খীদের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভায় রুপ নেয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com