বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান শ্রীমঙ্গলে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে লাখ টাকা জরিমানা শিক্ষকের দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং সাবেক এমপি’র তারাকান্দায় তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা সলঙ্গা কুঠিপাড়া মাদ্রাসায় কোরআনের ছবক সেবা মান উন্নয়নে বিআরটিএ’র গণশুনানি দাগনভূঞা বিআরডিবি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নজির আহাম্মদ বিজয়ী তাঁর খালার আমলে মানুষ গুম করা হয়েছিল, এরপরও টিউলিপকে কেন মন্ত্রী করলেন স্টারমার এখনই নয়, ন্যূনতম সংস্কার করেই নির্বাচন চান মির্জা ফখরুল গাজা যুদ্ধ : সদ্যজাত ২১৪ শিশুকে হত্যা করেছে ইসরাইল সংস্কার প্রশ্নে ৩১ দফার দিকে তাকান, অন্তর্বর্তী সরকারকে দুদু

কমলগঞ্জে ১০ টাকার কলার হালি ৩০টাকা

আব্দুল বাছিত খান কমলগঞ্জ :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২

কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর, ভানুগাছ ও স্থানীয় বিভিন্ন বাজার সমুহে হঠাৎ করে কলার দাম অস্বাভাবিক হয়ে উঠছে। সরকারীভাবে কলার দাম নির্ধারণ না থাকায় যে যেভাবে সম্ভব ভোক্তাদের কাছ থেকে দাম আদায় করে নিচ্ছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন রোজাদার ভোক্তা সাধারণ। রমজান মাসকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা বাড়তি সুযোগ আদায় করে নিচ্ছেন। সরেজমিন উপজেলার বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারের বিভিন্ন স্থানে স্থানে ব্যবসায়ীরা কলা সাজিয়ে রেখেছেন। এরমধ্যে চাম্পাকলা ও সাগর কলার সংখ্যাই বেশি। পাঁকা কলার পাশাপাশি গাছ থেকে কেটে আনা কাছা কলার ছড়িও রাখা হয়েছে। তবে সেগুলো গর্তে রেখে কিংবা কেমিক্যালের মাধ্যমে পাকানোর পর চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। রমজানের বাজার থাকায় হাটবাজার সমুহেও কলার ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে কোথাও দাম কম দেখা যায়নি। ছোট সাইজের এক ডজন পাকা চাম্পা কলা ৮০ থেকে ৯০ টাকা হারে বিক্রি করা হচ্ছে। আবার এক হালি ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাগর কলার ক্ষেত্রে এক হালি ৪০ টাকা হিসাবে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বাজারের এসব কলার অধিকাংশই কৃত্রিমভাবে পাকানো ও নিম্নমানের রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিমত। শমশেরনগর বাজারের রোজদারী ভোক্তা শাহীনুর বেগম, শামসুল ইসলাম ও জমশেদ আলী বলেন, কিছুদিন আগেও যে চাম্পা কলার হালি ছিল ১০/১৫ টাকা রমজান মাস শুরু হতে না হতেই এখন সেই কলার হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তারা আরও বলেন, কলা ব্যবসায়ীদের কেউ তদারকি না করায় ব্যবসায়ীরা যার যার মতো দাম আদায় করে নিচ্ছে। এতে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের রোজাদার লোকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। শমশেরনগর বাজার বনিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান রমজানে কলার দাম বৃৃদ্ধির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সুযোগ বুঝে যে যার মতো রোজদারী গ্রাহকদের কাছ থেকে কলার দাম আদায় করে নিচ্ছেন। তবে এসব বিষয় দেখভালের দায়িত্ব আমাদের নয়। এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল আমীন বলেন, আসলে বাজার ঘুরে দেখা গেছে কলার দাম বেশি। তবে সরকারীভাবে কলার দাম নির্ধারণ করা না থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তারপরও কোথাও অতিরিক্ত কলার দাম নেয়া হলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com