বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
কয়রায় সড়কের কাজ ফেলে ঠিকাদার লাপাত্তা, জনদুর্ভোগ চরমে ধনবাড়ীতে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ঢেঁকি মৌলভীবাজার জেলার ৫ উপজেলা ও ৫ পৌর শাখা বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন নড়াইলে তারুণ্যের উৎসবে বালক-বালিকাদের সাইক্লিং প্রতিযোগিতা লোহাগাড়া প্রেসক্লাবের উদ্যােগে পত্রিকার হকার ও অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কালকিনিতে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুর্ধ্ব ১৭ এর ফাইনাল ম্যাচ নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াজেদকে ফুলেল শুভেচছা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান শ্রীমঙ্গলে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে লাখ টাকা জরিমানা শিক্ষকের দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং সাবেক এমপি’র তারাকান্দায় তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা

হাওরের বাঁধ রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে শত শত কৃষকের চেষ্টা

মোনায়েম খান নেত্রকোনা :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২

ভারতের পাহাড়ী ঢলে নদ নদীর পানি বৃদ্ধিতে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশংকায় বোরো ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় হাওরের কৃষকরা। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধনু নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ি উপজেলার কীর্তনখোলা বাঁধের ফাটলধরেছে। ফসল রক্ষায় ফাটল সারাতে জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ হাওর অঞ্চলের শত শত কৃষকরা সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ রক্ষায় দিনরাত কাজ করছে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, সোমবার সন্ধার দিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধনু নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খালিয়াজুড়ি উপজেলার কির্তনখলার বাধের ফাটল ধরেছে। এছাড়াও কয়েকটি ফসলরক্ষা বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমানের নেতৃত্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক এফ এম মোবারক আলী, খালিয়াজুড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ এম আরিফুল ইসলামসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও শত শত কৃষক বাঁশ, চাটি, বালির বস্তাসহ বাঁধ রক্ষার বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে রক্ষার প্রানপন চেষ্টা করছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত জানান, কির্তনখোলা ও নাউটানা এলাকায় আশা বাঁধের ফাটল দেখা দিয়েছিল, তা আমরা মেরামত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ধনু নদির পানির বৃদ্ধি এখনও অব্যাহত রয়েছে, তবে বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা, উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে বাঁধের ফাটল মেরামত করা হয়েছে। আশা করছি বাঁধ আর ভাঙ্গবে না।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com