বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার বার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, ঢাকা-এর ১৬ নম্বর আদালতে তার জামিন আবেদন শুনানি করা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের শুনানি শেষে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের মৃত্যুর পর ঢাকা-১৮ আসনে একটি উপনির্বাচন হয়। সেখানে ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে সেই সময় মতিঝিলে বিএনপির একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল হয়। সেখানে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক উপস্থিত ছিলেন না। সেই মিছিল শেষে কে বা কারা একটি ব্যাংকের বাসে আগুন দেয়। ওই মামলায় ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক উচ্চ-আদালতে জামিন নেন। উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষে যখন নি¤œ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন নেয়ার কথা ছিল তখন তিনি কোভিড আক্রান্ত ছিলেন। তাই আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তাই যেহেতু উচ্চ আদালতে তিনি জামিনপ্রাপ্ত হয়েছিলেন ও এই মামলার সকল আসামি জামিনে আছেন তাই তিনিও জামিন পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়ায় আমরা অবাক হয়েছি।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে লিফলেট বিতরণকালে মতিঝিল থেকে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার ৬ এপ্রিল বেল সাড়ে ১১টার দিকে মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘২০২০ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা একটি মামলায় আদালত থেকে তার পরোয়ানা জারি ছিল। এর ভিত্তিতে আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। পরোয়ানার বিষয়টি ইশরাক হোসেন নিজেও জানেন।’ এর আগে সকাল থেকে রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় নেতাকর্মী ও অনুসারীদের নিয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে পথচারী, ব্যবসায়ীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন। শাপলা চত্বর এলাকায় আসলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের গাড়িতে তুলে মতিঝিল থানায় নিয়ে আসেন। তাকে আজই আদালতে নেওয়া হবে বলেও জানা গেছে।
এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, সাড়ে ১১টার দিকে দ্রব্যমূল্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে লিফলেট বিতরণকালে মতিঝিলি থেকে ইশরাক হোসেনকে আটক করা হয়। বর্তমানে তিনি মতিঝিল থানায় আছেন। তবে কোন মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে তা জানাতে পারেননি এই বিএনপি নেতা।