সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন

বছরের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ৬ এপ্রিল, ২০২২

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু চলতি বছরের শেষ নাগাদ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরপর্বে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর টেবিলে প্রশ্নটি উত্থাপন করেন নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জমান সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের উভয় প্রান্তে অ্যাপ্রোচ রোড ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। মূল সেতুর ভৌত অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। বর্তমানে সেতুতে কার্পেটিং, ভায়াডাক্ট কাপের্টিং, ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন, মূল সেতু ও ভায়াডাক্টের মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল্যাম্পপোস্ট, অ্যালুমিনিয়াম রেলিং, গ্যাসের পাইপলাইন, ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ এবং রেললাইন নির্মাণের কাজ চলছে। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, এ বছর জুন মাসেই পদ্মা বহুমুখী সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হতে পারে।
টিসিবি’র বিক্রয় চলমান থাকায় নিত্যপণ্যের দাম কমেছে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টিসিবি’র বিক্রয় কার্যক্রম চলমান থাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে কমতে শুরু করেছে।
তিনি গতকাল বুধবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘করোনা মহামারিতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে সব দেশেই পণ্যমূল্য লাগামহীনহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে অনাকাঙ্খিতভাবে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর কুফল হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্ত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে জনবান্ধব বর্তমান সরকার দেশের নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সম্ভাব্য সব রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময়ে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, সরকারের কার্যক্রমের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে। পবিত্র রজমান মাসে নিত্যপণ্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
প্রশ্নোত্তরে তিনি কয়েকটি নিত্যপণ্যের টিসিবি, বর্তমান ও পূর্বের বাজারমূল্যের একটি তুলনামুলক চিত্র তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১ মার্চ সয়াবিন তেলের এক লিটার ক্যানের বাজার মূল্য ছিল ১৭০ টাকা, ৫ এপ্রিল এর মূল্য কমে হয়েছে ১৬১ টাকা ৫০ পয়সা, এ সময়ে খোলা সয়াবিন প্রতিলিটার ১৭৫ টাকা থেকে কমে ১৫৫ টাকা এবং পাম ওয়েল লিটার প্রতি ১৫৮ টাকা থেকে কমে ১৪২ টাকা হয়েছে। এ সময় টিসিবি প্রতি লিটার ক্যান বিক্রি করেছে ১১০ টাকা করে।
মশুর ডালের কেজি ১ মার্চের ১২০ টাকা থেকে কমে ৫ এপ্রিল হয়েছে ১১২ টাকা ৫০ পয়সা। এ সময়ে টিসিবি বিক্রি করছে ৬৫ টাকায় কেজি। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১ মার্চের ৮৫ টাকা থেকে কমে ৫ এপ্রিল ৭৮ টাকা হয়েছে। এ সময়ে টিসিবি বিক্রি করছে ৫৫ টাকা। ছোলা কেজি প্রতি ১ মার্চের ৭৭ টাকা থেকে কমে ৫ এপ্রিল ৭২ টাকা ৫০ পয়সায় এসেছে। এ সময়ে টিসিবি বিক্রি করছে কেজি ৫০ টাকায়। পেঁয়াজ ১ মার্চের ৬০ টাকা কেজি থেকে কমে ৫ এপ্রিল ৩১ টাকা ৫০ পয়সা হয়েছে। টিসিবি বিক্রি করছে ২০ টাকা কেজি দরে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com