বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ০৭:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
শ্রীমঙ্গলে সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট এর প্রকল্প সমাপনী ও প্রকাশনা কুড়িগ্রামে স্কুল পর্যায়ে বিতর্ক কুইজ ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সফল পোনা চাষী শিক্ষক চিনু মাস্টার অপসোনিন ফার্মা আয়োজিত জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে বৃক্ষরোপণ তিস্তা সেচ ক্যানেলের ধারে পড়ে থাকা মাইন সদৃশ বোমা উদ্ধার গজারিয়া প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ নদী দূষণের বিরূপ প্রভাব, হালদায় ভেসে উঠল ১০ কেজি ওজনের মৃত রুই মাছ ফরিদপুরে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্য গ্রেফতার সালিশের মাধ্যমে মামলা কমানো সম্ভব: প্রধান বিচারপতি বিদায় নিলো অস্ট্রেলিয়াও: বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান

আমার স্ত্রীকে ‘চোরের বউ’ বলে অপমান করা হয়: সাহেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২

করোনা চিকিৎসার নামে প্রতারণার দায়ে গ্রেপ্তার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে শাহেদ করিম বলেছেন, ‘আমার পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। আমার ১৬ বছরের মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সহপাঠীরা প্রতারকের মেয়ে বলে ডাকায় সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। আমার স্ত্রী বাড়ির বাইরে যেতে পারে না। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোয় আমার স্ত্রীকে চোরের বউ বলে অপমান করা হয়।’ গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সাহেদের জামিনের জন্য তার আইনজীবী ঢাকার একটি আদালতে আবেদন করার সময় এসব কথা বলেন তিনি। আদালতের কাছ থেকে কথা বলার অনুমতি নিয়ে সাহেদ বলেন, ‘২০২০ সালে যখন করোনা রোগী দ্রুত বাড়ছিল তখন তৎকালীন স্বাস্থ্যসচিব সাহেদকে তার ২ হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসার প্রস্তাব দেন।’ এ প্রস্তাব পেয়ে তার হাসপাতাল দুটিতে কোনো ফি ছাড়াই করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা শুরু করে এবং দেশে তার হাসপাতালগুলোই প্রথম করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু করে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদসহ অভিযুক্তদের কাউকে আমি চিনতাম না। মামলায় উল্লেখ করা কোনো টাকা আমি পাইনি। তাছাড়া, আমাকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।’ এর আগে গতকাল বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ মামলায় আবুল কালাম আজাদসহ ৫ জনের জামিন মঞ্জুর করেন। মামলায় জামিন পাওয়া অপর ৪ আসামি হলেন- সাবেক পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আমিনুল হাসান, উপপরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম। মামলায় সাহেদ, আজাদ ও বাকি ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি স্থগিত করার জন্য দাখিল করা আবেদনও মঞ্জুর করেন আদালত। বৃহস্পতিবার শাহেদের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক আদেশ দেবেন।
লাইসেন্স ছাড়াই করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ, প্রতারণা ও চিকিৎসার নামে সরকারি তহবিল আত্মসাতের অভিযোগে ৬ জনের নামে মামলা হয়। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তকালে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় অভিযোগপত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাসচিব আজাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। চার্জশিটে তাকে ‘পলাতক’ দেখানো হয়। ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আজাদ ছাড়া বাকি ৫ জনের নামে মামলাটি করে দুদক।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com