জাতীয় পরিচয় পত্র (সংক্ষেপে এনআইডি কার্ড, যা আইডি কার্ড নামে বহুল প্রচলিত) হল বাংলাদেশীনাগরিকদের জন্য একটি বাধ্যতামূলক নথি, যা ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর নথিভুক্ত হতে হয়। তথ্য নথিভুক্ত করণ ও আইডি কার্ড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হল বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। আর এই জাতীয় পরিচয় পত্র বানাতে ৩ হাজার। ভুল সংশোধন করতে ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার লেন-দেন করতে হচ্ছে এমন অভিযোগ ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের। ফটিকছড়ি উপজেলার এই অফিসে সেবা নিতে আসা মানুষের মুখে মুখে ছিল নির্বাচন অফিসে কাজ করতে গেলে দালাল ধরতে হবে সাথে হাজার টাকা খরচ দিতে হবে। তখন নির্বাচন অফিসে দালালের দৌরাত্ম দেখা গেলেও সম্প্রতি তার উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। দালালের দৌরাত্ম কমে যাওয়ায় অনেকটা স্বস্তি ফিরে এসেছে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের মাঝে। সেবাগ্রহীতারা এসে সরাসরি অফিসারদের সাথে কথা বলে তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারছে। সেবা নিতে আসা প্রবাসী শহিদুল বলেন, বিদেশ থেকে আসার আগে দালাল ধরে কাজ করতে হবে জেনে এসেছি। তবে, অনলাইনে আবেদন করে সরাসরি অফিসারের সাথে কথা বলে ১০ মিনিটে ছবি তুলতে পেরেছি। নজিরহাট থেকে আসা আরিফ বলেন, আমার এনআইডি হারিয়ে গেছে। অনলাইনে আবেদন করে কোন রকম হয়রানি ছাড়াই অফিসারের সাথে কথা বলে দ্রুত সার্ভিস পেয়েছি। আরোও অনেকে দালাল ছাড়া সেবা পাওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। নির্বাচন অফিস তথ্য সূত্রে জানা যায়, করোনাকালীন সময় জুলাই ২১ইং থেকে মার্চ এ পর্যন্ত ১১ হাজার অধিক নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ক ক্যাটাগরির ৮ হাজার ফাইল সংশোধনসহ ২ হাজার ৫ শত হারানো ও স্থানান্তর সম্পন্ন হয়েছে। প্রবাসী, হজ্ব যাত্রী, মুক্তিযোদ্ধা, মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীসহ করোনা ভ্যাক্সিন গ্রহীতাদের অগ্রাধিকার দিয়ে ভোটার আইডি সংক্রান্ত সকল সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হচ্ছে। সপ্তাহে দুইদিন নতুন ভোটার করা ছাড়াও বাকীদিন গুলোতে সংশোধনীর কাজ করা হচ্ছে বলেন জানান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। দালাল ছাড়া সরাসরি তার অফিসে চলে আসার আহবান জানিয়ে সকল পেন্ডিং কাজ করা রমজানেও সব সেবা অব্যাহত থাকবে বলে জানা তিনি ।