সিয়াম সাধনার মাস রমজান। সুস্থভাবে সারা মাস রোজা রাখার জন্য ইফতার এবং সেহরিতে খাদ্যতালিকায় সামান্য পরিবর্তন আনতে হবে। কোন কোন খাবার খাদ্যতালিকায় রাখলে শরীর সুস্থ থাকবে সেই বিষয়টি নিয়ে সন্দিহান থাকে অনেকেই।
সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থে ইফতার এবং সেহরি উভয়ই সমান গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময়ই ইফতারের উপর আমরা যতটা প্রাধান্য দিয়ে থাকি, সেহরির উপর ততটা প্রাধান্য দিই না। যার ফলে আমরা সারাদিন রোজা রাখার পর অনেক ক্লান্ত হয়ে পরি। আসুন তবে জেনে নেয়া যাক সেহেরিতে আমাদের খাদ্যতালিকায় কি কি রাখা উচিৎ এবং কি রাখা উচিৎ নয়।
সেহরি তে যা যা খাবেন: রোজা রেখে প্রতিদিন কমপক্ষে সাত থেকে আট গ্লাস পানি পান করা উচিৎ। এর ফলে আমাদের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে। সেহরিতে উঠে কিছুক্ষণ পর পর পানি পান করা উচিৎ। তবে মাত্রাতিরিক্ত পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এটা করলে আপনার পাকস্থলির উপর পড়বে অতিরিক্ত চাপ, এমনকি হতে পারে হজমজনিত সমস্যা। তবে সেহরিতে পানি সমৃদ্ধ ফল তরমুজ,আপেল,তাল কিংবা কমলা খেতে পারেন যার ফলে পানির তৃষ্ণা কম পাবে এবং দেহের পানিশূন্যতা পূরণে সাহায্য করবে।
রোজা রাখা অবস্থায় আপনার দেহে পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট থাকা অত্যন্ত জরুরি। ফলে সেহেরিতে খাবার তালিকায় রাখতে হবে পরিমিত পরিমাণ ভাত, আলু, কিংবা দুধজাতীয় খাবার। যেসব খাবার প্রচুর পরিমাণ আঁশসমৃদ্ধ সেগুলো প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করা উচিৎ। আঁশসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণে রোজা রাখা অবস্থায় অতিরিক্ত সময়ের জন্য শরীর থাকে শক্ত, সামর্থ্য এবং ক্ষিদে পায় কম। আম, কলা, আপেল, গাজর, ডাল, বাদাম রাখতে পারেন আঁশ সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে।
আঁশসমৃদ্ধ ও কার্বোহাইড্রেট এর পাশাপাশি প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। যা খেলে মাংসপেশী থাকবে শক্তিশালী এবং আপনি পাবেন সারাদিন রোজা রাখার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি। এছাড়া সেহরিতে আপনার সারাদিনের চালিকা শক্তি হতে পারে এক গ্লাস কম ফ্যাট সমৃদ্ধ দুধ যা শরীরের জন্য খুবই উপকারি।
সেহরিতে যা যা খাবেন না: ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় যেমন চা, কফি বাড়িয়ে দেয় আপনার তৃষ্ণা এবং শরীরের তাপমাত্রা। তাই ক্যাফেইনড ড্রিংকস জাতীয় পানীয় গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন সেহরিতে অনেকেই ভারি এবং অধিক পরিমাণ খাবার খেয়ে থাকেন যা একদমই শরীরের জন্য উপযোগী নয়। তাই সেহরিতে ভারী খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার গ্রহণে দেখা দেয় দেহে পানিশূন্যতা। তাই অতিরিক্ত লবণ যুক্ত খাবার পরিহার করুন।