রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
দেশের ৩০টি কেন্দ্রে ফয়যে বর্ণভী সাবাহী মক্তব বোর্ডের ২য় কেন্দ্রীয় পরীক্ষা কলমাকান্দায় ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প জগন্নাথপুরে পলাতক আসামী গ্রেফতার-৫ চকরিয়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রী, সড়ক দুর্ঘটনা, সংঘর্ষ ও মসজিদের বাথ রুমে মুসল্লীর লাশ সহ ৪ খুন : খুনিসহ আটক ৩ মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নে বিএনপি’র কমিটিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী থাকায় সংবাদ সম্মেলন পাঁচবিবিতে ওলামা মাশায়েখ ও সুধী সমাবেশ ফটিকছড়িতে আকষ্মিক সফরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সদরপুরে এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন গলাচিপায় তারুণ্যে উৎসবে বিভিন্ন পর্বে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ আমাদের মূল সংগ্রাম একনায়কতন্ত্র উৎখাত করা : সাক্ষাৎকারে কেএনডিএফ নেতা

রায়পুরে ফিসারিতে গুরুত্বর অনিয়মের অভিযোগ, কম দামে খৈল-ভূষির টেন্ডার

দেলোয়ার হোসেন মৃধা, লক্ষ্মীপুর :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০

কম দামে মাছের খাদ্য খৈল ও ভুষি কেনাকাটায় রায়পুর ফিস হ্যাচারীর টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ২৫ হাজার কেজি খৈল ও ভূষির টেন্ডার প্রক্রিয়ার ১০ লাখ টাকার বরাদ্দে ৭জন ঠিকাদার টেন্ডারে শিডিউল জমা দেন। সেই দরপত্রে সর্বনিম্ন খাদ্যের দাম দিয়েছেন রায়পুর পৌর ৫ নং ওয়ার্ড কমিশনার জাকির হোসেন নোমান। ফিশ হ্যাচারীর ৩০ বছর পর এই টেন্ডার পক্রিয়ায় শুরুতেই হোচট খেয়েছে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ওয়াহিদ রহমান মজুমদারের যোগসাজসে। ইতোমধ্যেই ৬ ঠিকাদারের অভিযোগ ওয়াহিদ মজুমদার টেন্ডার পক্রিয়ায় কমিশনের মাধ্যমে ১৮ টাকা ধরে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস বলেন, আজকাল ২০ টাকায়ও ১ফুট বালু পাওয়া যায় না, সেখানে কিভাবে ভ্যাট আইডি বাদ দিয়ে ১৫ টাকায় মাছের খাদ্য খৈল ও ভূষির ওয়ার্ক অর্ডার পায় তাতে অনিয়ম করা ছাড়া উপায় নেই। প্রতি কেজি খৈল ও ভূষি বাজারে ২৮ টাকা থেকে ৩৫ টাকা।

তবে টেন্ডার পাওয়া জাকির হোসেন নোমান কমিশনার বলেন, আমিতো জোর করে টেন্ডার নেইনি, কতৃপক্ষ আমাকে বলেছে আপনি কাজ পেয়েছেন। বাজার থেকে মূল্য বেশী হলে আমরা তা ঘাটতি দিয়ে মাল বুজিয়ে দিবো।

সর্বোচ্চ দরদাতা রায়পুর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠান বলেন, একনায়কত্ব চলছে ফিস হ্যাচারির উন্নয়ন মুলক কর্মকাণ্ডে। ফিস হ্যাচারির কর্মকর্তাদের যোগসাজশে একজন ঠিকাদার দীর্ঘদিন যাবৎ টেন্ডার বিহীন কাজ পাচ্ছে। আমাদের নেতা কর্মীরা প্রায় অভিযোগ করেন ফিস হ্যাচারির কাজ গুলো অত্যন্ত নিম্নমানের হচ্ছে। অনেক কাজ না করেও বিল উঠিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মূলত দুজন ঠিকাদার সমন্বয়ে করে ফিস হ্যাচারির এই টেন্ডারকে বিতর্কিত করেছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় সিনিয়র মৎস পরিচালক দেলোয়ার হোসেন ফিস হ্যাচারির টেন্ডারের অনিয়মের ব্যাপারে বলেন, এত কম দামে কোন ভাবেই টেন্ডার কেউ পেতে পারেনা। টেন্ডার আহবান করছে সেটি অবগত কিন্তু ওয়ার্ক অর্ডার সংক্রান্ত কাগজ এখনো আমাদের কাছে এসে পৌছাইনি। আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইতোপূর্বে অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগে সরেজমিন তদন্ত ও শুনানি হয়েছে। এছাড়াও রশিদ ছাড়া রেণু পোনা বিক্রি, বেশি রেণু বিক্রি করে সরকারি হিসাবে কম দেখানো, দরপত্র ছাড়া নির্মাণ-সংস্কার কাজ করানো ও পুকুরে অতিরিক্ত চুন দিয়ে পরিকল্পিতভাবে মা মাছ হত্যার ঘটনাও রয়েছে।এবিষয়ে জানতে চাইলে- অভিযুক্ত রায়পুর ফিস হ্যাচারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ওয়াহিদ মজুমদার বলেন, বাধ্যবাধকতার কারনে সর্বনিন্ম ধরদাতাকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে, কোন অনিয়ম করা হয় নাই। সর্বনিন্ম দরদাতা খাদ্য না দিতে পারলে ২য় দরদাতা কার্যাদেশ পাবে।

এমআইপি/প্রিন্স




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com