সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে বিএনপির নেতা কর্মীদের কাজ করতে হবে বনশ্রী আফতাব নগর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি বাবলু পন্ডিত, সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ১৫তম সভা মহানগরী জোন আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাইলস্টোন কলেজের কৃতিত্ব স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আজ ৮৯তম জন্মবার্ষিকী নগরকান্দায় দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ওসি, সাংবাদিকসহ আহত- ৩০ কালীগঞ্জে নানা সংকটে গ্রাম আদালত সুফল পেতে প্রয়োজন কার্যকরী উদ্যোগ কটিয়াদীতে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন, ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ মুন্সীগঞ্জে লুন্ঠিত মালামালসহ ৭ ডাকাত গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে বর্ণিল পিঠা উৎসব

সুনামগঞ্জে ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত

এম এ মতিন সিলেট :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০২২

সিলেটের সুনামগঞ্জে সম্প্রতি সৃষ্ট বন্যায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ১ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সুনামগঞ্জে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২০৯ মিলিমিটার। গত সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হাওরে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগাম বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আমাদের তিনটি স্থানে ভাঙন হয়েছে। ফসলের ক্ষেত্রে ২ লাখ ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে ফসল উৎপাদন হয়। বৃষ্টি-বন্যায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১০ দিনের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন দেবে। সুনামগঞ্জের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্প ৫০ কোটির উপর হলে সমীক্ষার প্রয়োজন আছে। সুনামগঞ্জের জন্য প্রকল্প নিয়েছি ৪৯৪ কোটি টাকার। নদী খননের জন্য ১ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। একনেকে পাস হলে নভেম্বরে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।তিনি আরও বলেন, আমরা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি। আগামী বছর থেকে এ সমস্যা হবে না। হাওর এলাকায় বার বার বাঁধ ভাঙার মতো অভিযোগ আসে, কিন্তু জড়িতদের শাস্তি হয় না- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এমন ৮ জন প্রকৌশলীকে কিন্তু আমরা সাসপেন্ড করেছি। এটা আইনের মাধ্যমে করতে হবে। নিয়মের বাইরে কিন্তু কাউকে সাসপেন্ড করতে পারব না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাঁধ নির্মাণ এলাকায় যার জমি আছে সে সেখানকার কমিটির সভাপতি। আরো চার জন যাদের জমি আছে, তারা মেম্বার। সেখানকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মেম্বার করা হয়। মসজিদের ইমামকেও মেম্বার করা হয়। এখন আমাদের প্রকৌশলীর হাতে কিছু নেই। কমিটিগুলোও ইউএনও করেন। প্রকৌশলীরা টেকনিক্যালি অ্যাডভাইস দেন। এখানে দুর্নীতির প্রশ্ন আসে না। আমি বলব না পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেউ দুর্নীতি করে না। দুর্নীতি করে, আমরা চেষ্টা করছি সেটি কমিয়ে আনার জন্য। সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য। প্রধানমন্ত্রীও বাংলাদেশের দুর্নীতি নিয়ে উদগ্রীব আছেন। তিনিও চাইছেন সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত দপ্তরগুলোতে দুর্নীতি কম হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। এসময় উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com