সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন

চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করতে পারছে না কেরাণীগঞ্জে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা

শামীম আহম্মেদ কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২

রাজধানীসহ সারা দেশের অভিজাত বিপনি বিতান থেকে ফুটপাতের মার্কেট দখল করে নিয়েছে কেরানীগঞ্জের পুর্ব আগানগর ও কালীগঞ্জের তৈরী বাহারী রং ও ডিজাইনের আধুনিক সব পোষাক। দামে কম ও কাপড়ের গুনগতমান থাকায় ক্রেতারাও লুফে নিচ্ছেন এ অঞ্চলের তৈরী পোষাক। বিশেষ করে রমজানের ঈদ এবং শীতকালিন সময় এই দুই মৌসুমই এখানকার ব্যবসায়ীদের মুল সিজন। পবিত্র মাহে রমজান চলমান তাই পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে গিয়ে নির্ঘুমরাত কাটাচ্ছেন দর্জিরা। যদিও বছর জুড়েই চলে নানা ধরনের পোষাক তৈরীর কাজ তবে শীত অথবা ঈদ এলেই কারিগরদের হতে হয় গলদঘর্ম। এখানকার পোশাক কারখানার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের ঈদের পোশাকের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পোশাক কেরানীগঞ্জ থেকে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হবে না। কালিগঞ্জ, আগানগর ও শুভাঢ্যার বিভিন্ন কারখানায় ঘুরে দেখা গেছে এখানকার তৈরী পোষাকের বাজারে রমজানের শুরুতেই ব্যাপক পাইকার সমাগম । তাই দিন-রাত চলছে বাহারীসব পোষাক তৈরীর কাজ। সারা বছর জুড়েই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকাররা এখান থেকে তাদের চাহিদা মাফিক তৈরী পোষাক নিয়ে বিক্রি করে থাকে। তবে বিশেষ করে ঈদ-পুজা বা শীত মৌসুমে এখানকার ব্যাবসায়ীদের কদর বেড়ে যায় সারাদেশের পাইকারদের কাছে। কাজেই আসছে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে এখন জমজমাট পুর্ব আগানগরের তৈরী পোষাকের পাইকারী বাজার। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাইকাররা ভিড় জমাচ্ছে কেরাণীগঞ্জের তৈরী পোষাকের বাজারে। জেলা পরিষদ মার্কেট এর এক্সটা ফ্যাসনের সত্ত্বাধিকারি মো. আরিফ জানান, বিগত দুই বছর করোনা মহামারিতে আমাদের ব্যবসায় প্রচুর লোকসান হয়েছে। এ বছর আল্লাহর রহমাতে ভালো সেল হচ্ছে। পাইকাদের চাহিদা অনুযায়ী পন্য সরবরাহ করতে পারছিনা। আসা করি পন্য ঠিক ভাবে দিতে পারলে বিগত দিনের লোকসান পুশিয়ে নিতে পারবো। এ ব্যাপারে কেরাণীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতি লিঃ এর সাধারন সম্পাদক হাজী মো.মুসলিম ঢালী জানান, মূলত শীত ও ঈদ মৌসুমই আমাদের সবচেয়ে বড় মৌসুম । তাই পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে এখানকার প্রায় ১০ সহাস্রাধিক তৈরী পোষাক কারখানার শ্রমিকরা। রোজার মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে তাদের এব্যস্ত সময়। তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তৈরী পোশাকের মার্কেট এটি। বৈশি^ক মহামারি করোনার প্রভাবে গত রোজার ও কোরবানীর ঈদে তাদের ব্যাবসা তেমন ভালো হয়নি। তবে এবছরের পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে ইতো মধ্যেই ক্রেতা সাধারনরা ভীড়তে শুরু করেছে আমাদের এ পোষাকের পাইকারী বাজারে। তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে বিদ্যুৎ সমস্যার কারনে তাদেরকে অনেক সমস্যায় পড়তে হত। কিন্তু কেরাণীগঞ্জে এখন আর কোন বিদ্যুৎ সমস্যা নাই। যে কারনে তাদের উৎপাদন এবছর আগের তুলনায় অনেকটাই বেশী। তিনি আরো বলেন, যে কোন রুচিশীল তৈরী পোষাক এখানে অত্যন্ত সহজ মুল্যে পাওয়া যাওয়ার কারনে পাইকারদের তেমন বেশী ঘোরাঘুরি করতে হয়না। তা ছাড়া রাজধানীর যে কোন পাইকারী বাজারের তুলনায় আমাদের এখানে কেনাকাটা করে পাইকার সাধারনরা কোনরকম যানজট ছাড়াই নিরাপদে তাদের গন্তব্যে পৌছতে পারে। যে কারনে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাইকারদের কাছে দিন দিন আমাদের কদর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি হাজী মো.স্বাধীন শেখ বলেন, এখানে কোন শ্রমিক অসন্তোষ নেই। নেই কোন চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী। নৌ-পথ ও সড়ক পথে দেশের যে কোন অঞ্চলে সহজে যোগাযোগ এবং যানজটমুক্ত এলাকা হওয়ায় দেশের যে কোন এলাকার পাইকাররাই মন খুল্ েপছন্দ মাফিক কেনাকাটার জন্য এখানে আসেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com