কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় চলতি মৌসুমে গমের ভাল ফলনে কৃষকের মনে খুশি জাগিয়েছে। বিঘা প্রতি ফলন হচ্ছে ১৮ থেকে ১৯ মন, বাজার দরও ভালো। সোমবার (১২ এপ্রিল) সকালের দিকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা গেছে, মাঠে মাঠে এখন পাকা গম ক্ষেত যেন সোনালী আভা। চাষিরা গম কাটা, মাড়াই কাজ এবং ঘরে তুলতে ব্যাস্ত। কৃষকরা বলছেন, উৎপাদন খরচ কমলে আরো ভালে হবে। তবে তাদের দাবি সার-বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম কমাতে হবে। তাহলে গম চাষে আরো অনেকে আগ্রহী হবে। অপর দিকে এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গমের ফলন ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি ১৮ থেকে ১৯ মন করে ফলন পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে গমের বাজার দর ১১ শত থেকে ১২ শত টাকা প্রতি মন। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১২ শত হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে এবার। চাষিরা বারি গম-২৫,২৬,২৭, ২৮, ৩০,৩২ এই জাতের গম চাষ করেছে। তবে বারি ৩২ ও ৩৩ জাতের গম চাষে আগ্রহী বেশী কৃষকদের। উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের পাখি উড়া গ্রামের গম চাষি জোবায়ের রহমান, খালেক, জোব্বার, আব্বাস আলীসহ অনেবেই বলেন, এবছর আমার পনেরো কাটা জমিতে গমের ভালো ফলন হয়েছে। গত মৌসুমের চেয়ে এবছর অনেক বেশি গম পেয়েছি। এর আগে গম চাষ করে প্রতি বিঘায় ১৬ মনের বেশি পায়নি। এ বছর ১৮ মন করে ফলন পেয়েছি। দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাউনিয়ারচর গ্রামের রফিকুল হক বলেন, বর্তমানে দামটা মন্দ না, কিন্তু সার-বীজ, কীটনাশক, হালচাষ, সেচের খরচটা বেশি হচ্ছে। আমাদের উৎপাদন খরচ কম হলে ভালো হতো। রৌমারী উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ কাইয়ুম চৌধুরী জানান, গম চাষে উদ্বুদ্ধ করতে উপজেলায় জনপ্রতি ২০ কেজি করে ৭ শত ৮০ জনকে বারি ৩২ ও ৩৩ জাতের গমের বিজসহ সার বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে গম কাটাই মাড়াই কাজ চলমান। ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকালে গত বছরের তুলোনায় চাষিরা এবার ফলন ভালো পাবেন। গম চাষে কৃষকদের আগ্রহী করা হচ্ছে।