রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে বিএনপির নেতা কর্মীদের কাজ করতে হবে বনশ্রী আফতাব নগর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি বাবলু পন্ডিত, সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের ১৫তম সভা মহানগরী জোন আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাইলস্টোন কলেজের কৃতিত্ব স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আজ ৮৯তম জন্মবার্ষিকী নগরকান্দায় দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ওসি, সাংবাদিকসহ আহত- ৩০ কালীগঞ্জে নানা সংকটে গ্রাম আদালত সুফল পেতে প্রয়োজন কার্যকরী উদ্যোগ কটিয়াদীতে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন, ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ মুন্সীগঞ্জে লুন্ঠিত মালামালসহ ৭ ডাকাত গ্রেফতার লক্ষ্মীপুর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে বর্ণিল পিঠা উৎসব

ঈদের কেনাকাটায় রাজশাহীর সিল্কের চাহিদা বেড়েছে

বাসস:
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২

ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে শোরুমগুলোতে রাজশাহীর মানসম্পন্ন সিল্ক কাপড় কিনতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে সিল্ক কাপড়ের চাহিদা। নগরীর ঈদ বাজারে স্থানীয় কারিগড়ের বুনন ও ডিজাইনে তৈরি সিল্ক কাপড়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ক্রেতারা প্রতিদিন সিল্কের শোরুমগুলোতে ভিড় করছে।
সাপুরা সিল্কের শোরুম ইন-চার্জ সাইদুর রহমান বলেন, ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে মুসলিমের কাতোয়ার শাড়ি। এই শাড়ি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার টাকা থেকে দেড় লাখ টাকায়। তিনি বলেন, শোরুমগুলোতে সিল্কের তৈরি শাড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস ও শিশুদের পোষাক একসাথে পাওয়া যাচ্ছে। নতুন ডিজাইনের উষা সিল্কের শাড়ি এক হাজার নয়শ’ টাকা থেকে ৬ হাজার ৫শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।
সিল্কের ব্যাপক চাহিদার কারণে বিএসসিআইসি শিল্প ব্যবস্থাপনার ফ্যাক্টরিগুলো ব্যস্ত সময় পার করছে এবং বাজার চাহিদা মেটাতে শ্রমিকরা সারারাত জেগে কাজ করছে। উষা সিল্কের শোরুম ইন-চার্জ নূর আলম বুলবুল বলেন, তাদের শাড়ি এক হাজার ১৫০ টাকা থেকে ৫০ হাজার ৫শ’ টাকায় এবং ত্রি-পিস আড়াই হাজার থেকে ৭৫ হাজার ৫শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, এ বছর ঈদে ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকার সিল্ক কাপড়ের ব্যবসা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ক্রেতা আকৃষ্ট করতে প্রতিটি দোকান ও শোরুমে বিভিন্ন ধরনের সিল্ক যেমন বলাকাকার চুপি, সুঁই-সুতাকাতান, কটিসিল্ক, জয়শ্রি, সিল্ক কাতান, ওয়াটার কাতান, জামদানি কাতান, বরকাতান, ধুপিয়ানা, ঝর্নাকাতান শাড়ি, থ্রি-পিস, ওরনা, পাঞ্জাবি, শার্ট, ফতুয়া ও স্কার্ফ পাওয়া যাচ্ছে।
বিত্তবান ক্রেতারা কিনছে তাদের পছন্দমত। মধ্য ও নিম্ন আয়ের ক্রেতারা বারগেইনিং করে কেনাকাটা করছে।
ঈদে সিল্কের তৈরি নতুন ডিজাইনের ও রংয়ের কাপড় আনতে সাপুরা সিল্ক, উষা সিল্ক, রাজশাহী সিল্ক ফ্যাসন, আমেনা সিল্ক এবং মহানন্দা সিল্কসহ সিল্ক উৎপাদনকারিরা তাদের ব্যবসার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে।
বাংলাদেশ সিল্ক ইন্ডাস্ট্রি ওর্নাস এসোসিয়েশনের সভাপতি লিয়াকত আলী সিল্ক রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয়ের মাধ্যমে এই খাতের উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ভোক্তা ইস্যুতে চাহিদা অনুযায়ী গুরুত্ব দেয়া উচিৎ। ‘বিদেশি সিল্কের দাম ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে প্রশিদ্ধ এই খাত এখন তাল-মাটাল পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।
তিনি বলেন, এই খাত রক্ষা করতে স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। আর তার জন্য প্রয়োজন দক্ষ শ্রমিক বিশেষ করে পেশাদার তাঁতী ও প্রির্ন্টাস ধরে রাখা।
লিয়াকত আলী তথ্য প্রচারসহ উচ্চ ফলনশীল তন্তুগাছ ও সিল্ক-গুটিসহ এ সংক্রান্ত অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকদের আকৃষ্ট করতে তাদের আগ্রহী করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি উৎপাদনকারিদের বিভিন্ন জাতের বীজ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের ওপর এবং ঐতিহ্যবাহী এই সিল্ক খাতকে পুনরুজ্জীবিত করে দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com