১০ বছরের শিশু তোয়া জীবিত না মৃত এ প্রশ্নের কোন উত্তর নাই। সমাজসেবা অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত ঝিনাইদহে সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা) মধুপুর থেকে গত ২৯ মার্চ তুয়া(১০) নামের একটি শিশু হারিয়ে গেছে। তবে এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তারা দায়িত্বে অবহেলা নয় সাফ সাফ জানিয়ে দিলেন। প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা উপ-তত্বাবধায়ক মোছাঃ রুমানা ইয়াসমিন গত ৩০ মার্চ ঝিনাইদহ সদর থানায় ১৮৩৫ নং হারানো জিডি করেছেন। জিডির তথ্য অনুযায়ি তুয়া ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার কানাইপুর গ্রামের জয়নুদ্দিনের মেয়ে। তবে এ ঠিকানাতে তুয়ার কোন অস্তিত্ব নাই এমনটি জানান উপ-তত্বাবধায়ক রুমানা ইয়াসমীন। অথচ গত ২৫ মার্চ কালীগঞ্জ থানার ১২৭৩ নং হারানো জিডিকে এই ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন উপ-তত্বাবধায়ক। ঝিনাইদহ জেলা সমাজসেবার এডি আব্দুল্লাহ আল সামী বলেন, এটা দায়িত্বে অবহেলা নয়, তোয়া তো পালিয়ে গেছে। তবে ঝিনাইদহ জেলা সমাজসেবার ডিডি আব্দুল লতিফ শেখ জানান, সরকারি শিশু পরিবার এটি কোন জেল খানা নয়, দায়িত্বে অবহেলা বিষয়টি তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান। থানা পুলিশের জিডির উপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, আমরা শিশুটির খোজ পাইনি। তবে তদন্ত চলমান আছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালিত ঝিনাইদহরে পোড়াহাটি ইউনিয়নের মধুপুরে অবস্থিত এই শিশু পরিবারে ৬৬টি শিশু বসবাস করে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামনে থেকে শিশু তোয়া হারিয়ে গেল অথচ দায়িত্বরতরা দায়ভার নিতে নারাজ। কর্তব্যরত ব্যক্তিদের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও সমাজসেবা অধিদপ্তর খতিয়ে দেখবেন এবং শিশু তোয়া আমাদের মাঝে ফিরে আসুক এমনটি প্রত্যশা করেন সচেতনমহল।