শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন

লঞ্চে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ভোলা-৩ বিএনপি প্রার্থীর ওপর হামলা

খবরপত্র রিপোর্ট
  • আপডেট সময় বুধবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮

ভোলা-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী মেজর (আব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের ওপর ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিকলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা। বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে সদরঘাটে ঢাকা থেকে লঞ্চে ভোলা যাওয়ার পথে এ হামলা চালানো হয়। ‍এসময় তাসরিফ-৪ লঞ্চে ব্যাপক ভাঙচুর ও স্টাফদের ব্যাপক মারধর করে হামলাকারীরা।

জানা গেছে, সন্ধ্যায় ভোলায় নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য সদরঘাটে লঞ্চ ‘তাশরিফ-৪’ এ ওঠেন বিএনপি প্রার্থী মজর (আব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। লঞ্চে ওঠার পর ২০-২৫ জনের ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের একটি দল ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলা চালায় তার ওপর।

এ ঘটনায় সদরঘাট নৌ থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে হামলার খবর পেলে সেখানে ফোর্স পাঠায়। তবে বিএনপির ওই প্রার্থী ছিলেন কি না এ ব্যাপারে নিশ্চিত না হলেও লঞ্চে বিএনপির নেতাকর্মীরা ছিলেন বলে জানান ওসি।

এর আগে, ভোলা-৩ আসনের ছয়বারের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ অভিযোগ করেছেন, সন্ত্রাসীদের ভয়ে তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় যেতে পারছেন না। নিরীহ নেতাকর্মীদের পথে-ঘাটে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আঘাত করা হচ্ছে। জেলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সেলিমসহ অনেক সিনিয়র নেতাকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এসব অভিযোগ করেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভোলাসহ সারাদেশের নির্বাচনী পরিস্থিতি তুলে ধরেন হাফিজউদ্দিন আহমদ।

ভোলা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি নুরুনব্বী চৌধুরী শাওন। তিনি এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। অন্যদিকে ধানের শীষে নির্বাচন করছেন মেজর হাফিজ।

মেজর হাফিজ ইসিতে অভিযোগ করে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলার ঘোরতর অবনতি হয়েছে। নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র জমা নেয়া এবং এসবের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর কথা থাকলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে নিশ্চুপ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘তারা (প্রতিপক্ষ) ইতোমধ্যে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপরে ক্রমাগত অত্যাচার-নির্যাতন বেড়ে চলেছে।’

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার নির্বাচন এলাকায় জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। রাস্তাঘাটে অস্ত্রধারীরা টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দেখেও দেখছে না। ৩৫ যুবদলকর্মী তাদের হাতে আহত হওয়ার পর উল্টো এসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, রাজধানী থেকে সন্ত্রাসীরা গিয়ে ভোলার সংসদীয় আসনে অবস্থান নিয়েছে। সারাদেশে ভোটাররা যদি কেন্দ্রে যেতে না পারেন সেজন্য ক্ষমতাসীন সরকার দায়ী থাকবে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

খবরপত্র/এমআই




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com