গুম-খুনের শিকার পরিবারের সদস্যদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি এখন। এখন কোনো যুদ্ধ নেই। কোনো শত্রুর সঙ্গে লড়াই হচ্ছে না। অথচ আজকে তরুণদের গুম করে দেওয়া হচ্ছে। তাদের একমাত্র অপরাধ, তারা পরিবর্তন চায়। তাদের কথাগুলো বলতে চায়,নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’
গতকাল সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলীকে গুম করার ১০ বছর উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। আরও ছিলেন বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ‘একদলীয় ও বাকশালীয় শাসনব্যবস্থার’ বিরুদ্ধে যেসব তরুণরা প্রতিবাদ জানাচ্ছে তাদের নির্মূল ও নিশ্চিহ্ন করতেই সরকার তাদের গুম করে দিচ্ছে ।
তিনি বলেন, তখনও (বঙ্গবন্ধুর শাসনামল) একদলীয় শাসনব্যবস্থা ছিল। সেই কৌশল এখনও বদলে দিয়ে তারা একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায় আওয়ামী লীগ। এখানে যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে তারা তাদের নির্মূল করতে চায়, নিশ্চিহ্ন করতে চায়।
আওয়ামী লীগের সমালোচনায় মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের একমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হল, তারা ক্ষমতায় চিরদিন টিকে থাকতে চায়। এটা তাদের পুরাতন অভিলাস। তারা চায়, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে তারাও ততদিন ক্ষমতায় টিকে থাকবে। আলোচনা সভায় তাহসিনা রুশদী বলেন, ইলিয়াস আলীকে গুম করে দেওয়ার পর সরকার নাটক সাজাতে চেয়েছিল। খারাপ খারাপ কথা লিখে দেয়ালে পোস্টার সাঁটিয়েছিল। কিন্তু জনগণ সেটা গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন, এই সরকার বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের গুম করে দিয়ে মেসেজ দিতে চেয়েছিল যে স্টপ হয়ে যাও। আন্দোলন করলে, কথা বললে গুম হয়ে যাবে।