ওয়ার্ল্ড ভিশন জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের সহায়তায় উন্নয়ন সংঘ জামালপুর এরিয়া প্রোগামের উদ্যোগে সেবা প্রদানকারীদের সাথে সেবা গ্রহীতাদের যোগাযোগ স্থাপন বিষয়ক এক সভা জামালপুরে অনুষ্ঠিত হয় হয়। জামালপুর বগাবাইদ উচ্চবিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জামালপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম শিমুল। এতে মুখ্য আলোচক ছিলেন উন্নয়ন সংঘের এপি ব্যবস্থাপক মিনারা পারভীন।দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশ নেন জামালপুর পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিনুর রহমান, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এমদাদুল ইসলাম জীবন, ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মিল্টন, মহিলা কাউন্সিলর সাইদা আক্তার, নাসরিন আক্তার, নগর উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মিয়ার উদ্দিন মাস্টার, আক্তারুজ্জামান আনসারী প্রমুখ। সভায় ৩০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। জানা যায় সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্ঠনীর আওতায় প্রকৃত ও অধিকযোগ্য ব্যক্তিদের অগ্রাধীকার দেয়া এবং বিভিন্ন ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে উপস্থিত কাউন্সিলরগণ মত ব্যক্ত করেন। এপির কর্মএলাকায় এখনো যোগ্য ব্যক্তিরা ভাতার বাইরে আছে জানার পর জনপ্রতিনিধিরা বলেন এধরণের ব্যক্তিরা যেনো যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেন। তারা সর্বাত্মক সহায়তা করার আশ্বাস দেন। শিশুদের মৌলিক চাহিদা পুরণের জন্যে খানার স্থায়ী আয়ের উৎসে সহযোগিতা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, ওয়াস, শিশু সুরক্ষা এবং অংশগ্রহণ কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের অবস্থা উন্নতির লক্ষ্যে জামালপুরে শুরু হয়েছে এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) নামে ১০ বছর মেয়াদী কর্মসূচি। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘ জামালপুরে এপি বাস্তবায়ন করছে।সূত্র জানায় উন্নয়ন সংঘ কর্তৃক এরিয়া প্রোগ্রামটি জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষিরচর, শরিফপুর ইউনিয়ন এবং জামালপুর পৌরসভার ১, ১০, ১১, ও ১২ নং ওয়ার্ডে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৩৯টি গ্রামে ২৩ হাজার ২৮২ জন উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। কর্মসূচির সকল কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ নিয়ে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার্যক্রমের মধ্যে জীবীকায়ন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াস এবং স্পন্সরশীপ অন্যতম। এরমধ্যে আবার খানা জরিপ, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশ সম্মত গ্রাম প্রতিষ্ঠা, জিঙ্ক ধান উৎপাদন, অতিদারিদ্রের উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দল গঠন, সক্ষমতার বিকাশ ঘটানো, প্রসবপূর্ব ও প্রসব পরবর্তী সেবা, শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিপদাপন্ন শিশুর তালিকা তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে হংকং।