অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা মোট আবাদের শতকরা এক ভাগ। অন্যদিকে বুধবার (২০ এপ্রিল) পর্যন্ত হাওরের সাত জেলায় গড়ে ৪১ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। হাওরের সাত জেলার মধ্যে কিশোরগঞ্জে ৩৮ শতাংশ, নেত্রকোনায় ৭৩ শতাংশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৯ শতাংশ, সিলেটে ৩৭ শতাংশ, মৌলভীবাজারে ৩৬ শতাংশ, হবিগঞ্জে ২৫ শতাংশ এবং সুনামগঞ্জে ৪২ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর হাওরভুক্ত সাত জেলা যথাক্রমে- কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জে চার লাখ ৫২ হাজার ১৩৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। হাওরের বাইরে আবাদ হয়েছে চার লাখ ৯৮ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে। মোট (হাওর ও নন-হাওর মিলে) আবাদ হয়েছে ৯ লাখ ৫০ হাজার ৩১৮ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে ৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির ধান অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে আক্রান্ত হয়েছে, যা মোট আবাদের শতকরা এক ভাগ (এক শতাংশ)। এদিকে, অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল এবং বৈরি আবহাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ৮০ শতাংশ পাকলেই হাওরের ধান কাটার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পাকা ধান দ্রুততার সঙ্গে কাটার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য জেলা থেকেও নিয়ে আসা হয়েছে। এ মুহূর্তে হাওরে প্রায় এক হাজার ৭০০ কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার ধান কাটছে। এরমধ্যে এক হাজার ১০০ কম্বাইন হারভেস্টার স্থানীয় আরও ৩৫০টি কম্বাইন হারভেস্টার বহিরাগত বা অন্যান্য জেলা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে বলেও জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।