রৌমারী উপজেলার কৃষকগণ কৃষির উপর নির্ভশীল। কৃষকের আধাপাকা ধান তলিয়ে যাওয়ায় হতাশায় দিন গুনছে কৃষকরা। উপজেলার কৃষকরা নিম্নাঞ্চলে আগাম জাতের বোরো ধান চাষ করে ঘরে তোলার চেষ্টায় থাকেন। এবার কয়েকদিনের টানা বর্ষনে আগাম জাতের ফোলানো ফসল বোরো ধান ঘরে তুলতে পারেনি এ অঞ্চলের কৃষকরা। তলিয়ে যাওয়া বোরো ধান সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল গুলিতে বোরো ধানের ফসলি জমি গুলি পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে পাট-ভূট্রা-তীল- সবজিসহ অনেক ফসলি জমিও। এতে বন্দবেড়, যাদুরচর, দাঁতভাঙ্গা, চরশৌলমারী ও রৌমারী সদর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলিতে বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা কৃষকরা। নিম্নাঞ্চল ধান চাষি রবিউল ইসলাম, আঃ লতিফ, আলহাজ্ব রহিম উদ্দিন, সামসুল, কফিলউদ্দীনসহ আরো অনেকেই জানান, এবার ধান কাটতে পারলাম না। ছেলে মেয়ে নিয়ে কিভাবে দিনাতিপাত করবো। তারা আরো জানায় প্রতিবছর এসব নিম্নাঞ্চলের জমির ধান দিয়ে সারাবছর খাবার যোগান দিয়ে ছেলে মেয়েসহ সংসার চালানো হয়। তারা দাবি জানিয়েছেন সরকার যদি ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের সহযোগিতা না করে তাহলে বন্যার সময় নির্ঘাত না খেয়ে থাকতে হবে। রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানায় উপজেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে নিম্নাঞ্চল জমিগুলিতে ১৩০ হেক্টর জমির কাচাঁ ধান কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। যদি কয়েকদিন প্রখর রোদ থাকে, পানি সুখে গিয়ে ধান কাটার উপযোগী হতে পারে। অন্যদিকে তিল, তিষি, পাট মৌসুমি সবজিসহ কিছু জমির ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয় উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে।