ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক ভূঁইয়া এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ আসামিকে সাত বছর করে কারাদ- দিয়েছেন আদালত। একইসাথে চার কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় দেন। দণ্ড পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন জয় গোপাল সরকার, মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তুহিন আছেন জামিনে। আর অন্য ছয় আসামি কারাগারে। এর আগে রায় ঘোষণার জন্য গত ৬ এপ্রিল দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারক ইকবাল হোসেন ছুটিতে থাকায় সেদিন রায় হয়নি। পরে আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির কামাল রায় ঘোষণার জন্য ২৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। এনু রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। আর রুপন ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক। ঘটনার পর তাদের বহিষ্কার করা হয়। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের এনুর কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাড়ি ঘেরাও করে র্যাব। এরপর কালামের স্ত্রী ও মেয়ের তথ্যে ওই বাড়ির দোতলা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব-৩-এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জিয়াউল হাসান ২৫ নভেম্বর ওয়ারী থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগ বলা হয়, এনু ও রুপন দীর্ঘদিন ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় তারা নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ কালামের বাসায় রেখেছিলেন। কালাম সেগুলো নিজের কাছে রাখেন, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ। মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী। এরপর গত বছরের (২০২১ সাল) ৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। বিচার চলাকালে আদালত ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য নেন।