যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ইহকাল ও পরকালের মুক্তি কামনায় গতকাল শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ২৭ রমজান সারাদেশে পবিত্র জুমাতুল বিদা পালিত হয়েছে। রমজান মাসের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদা হিসেবে পালন করেন মুসলিমরা।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) রমজানের শেষ শুক্রবারে জুমার নামাজের পর বিশেষ ইবাদত করতেন। তার উম্মতরা এরই ধারাবাহিকতায় এদিন জুমার নামাজের পর নফল নামাজ আদায় করেন ও বিশেষ দোয়া করেন।
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজানের শেষ জুমা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব ও মর্যাদাপূর্ণ। রমজানের শেষ জুমা হওয়ায় দিনটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। জুমাতুল বিদার দিন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এলাকার মসজিদে আগেভাগেই উপস্থিত হন।
গতকাল শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বায়তুল মোকাররম মসজিদ জুমার আজানের আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। রোজা রেখে সবাই জুমাতুল বিদার জামাতে শরিক হওয়ার চেষ্টা করেন। প্রধান মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ রাজধানীর পাড়া-মহল্লার সব মসজিদেও মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
মসজিদ ছাড়িয়ে আশপাশের রাস্তায় মুসল্লিরা কাতারবন্দি হয়ে নামাজ আদায় করেন। পবিত্র জুমাতুল বিদায় মসজিদে মসজিদে দেশ জাতি ও মুসলমানদের কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। রমজানের শেষ শুক্রবার আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণে কান্নাজড়িত কণ্ঠে মোনাজাত করেন মুসল্লিরা। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের নিরীহ মুসলমানদের রক্ষা ও বায়তুল মোকাদ্দাস উদ্ধারে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সাহায্য কামনা করা হয়। প্রসঙ্গত, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে জুমার দিনের মর্যাদা আরো বেড়ে যায়। রাসুল (সা.) জুমার দিন সম্পর্কে বলেছেন, ‘তাতে এমন একটি মুহূর্ত আছে, কোনো মুসলিম বান্দা মহান আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চাইলে তিনি তা দেন। আর সেই মুহূর্ত খুবই কম সময়ের হয়ে থাকে।’ রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আদম সন্তানের সব আমলের সওয়াব ১০ গুণ থেকে সাত শ’ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।’ মহান আল্লাহ বলেন, ‘তবে রোজা আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেব। সে কেবল আমার জন্য পানাহার ও প্রবৃত্তি পূরণ থেকে বিরত থেকেছে।’