ঠাকুরগাঁও জেলায় বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অপরদিকে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই চলছে ঠাকুরগাঁও জেলায় গবাদিপশুর হাট। ৩০ মে শনিবার দুপুর ১২টায় ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার জগন্নাথপুরের খোঁচাবাড়ি হাটে গেলে এমনি চিত্রটি চোখে পড়ে। সপ্তাহে দুই দিন বসে এই হাটটি।
সারেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশের জগন্নাথপুর খোঁচাবড়ি হাটে সকাল থেকে কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই শতাধিক লোক নিয়ে গাদাগাদি চলছে গবাদিপশুর হাটটি। সেই সাথে বেশির ভাগ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে নেই মাস্ক।
সীমিত পরিসরে ও সামাজিক দূরত্ব সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনার কথা থাকলেও কিছু মানা হচ্ছেনা সেখানে। ফলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
হাটে ছাগল কিনতে আসা শাকিল আহমেদ নামের এক ক্রেতা জানান,দুপুরের দিকে এসেছি বাসার জন্য ছাগল কিনবো বলে। কিন্তু এখানে এসে দেখি অনেক লোকের সমাগম। সেই সাথে এখানে নেই কোন সামাজিক দূরত্ব,একদম গাদাগাদি করেই পশুর হাটটি চলছে। তাই ছাগল না কিনেই চলে যেতে হচ্ছে। যদি এভাবেই চলে তাহলে আমাদের ঠাকুরগাঁও জেলার জন্য এটি ক্ষতিকর।
আব্দুল আজিজ নামের আরেক ক্রেতা জানান,হাটের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আমাদের ঠাকুরগাঁও জেলায় করোনা বলতে কিছু নেই। আমি মাস্ক পড়ে থাকলেও হাটের বেশির ভাগ মানুষ মাক্স তো দূরের কথা কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা। আমার মতে এভাবে যদি এই হাট চলে তাহলে আর বেশি দিন নেই আমাদের ঠাকুরগাঁও জেলাও প্রচুর হারে বেড়ে যাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। হাটে গরু বিক্রি করতে আসা বিক্রেতা জয়নাল মিয়া বলেন,বেশ কিছু দিন ধরেই করোনার কারনে কোন আয় রোজগার নেই। ৩০ মে শনিবার হাট খুলেছে তাই একটি গরু বিক্রি করতে আসেছি।
মুখে মাক্স কেন পরেন নি এমনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,অনেকেই তো পড়েনি তাই আমিও পড়িনাই। তবে পকেটে রয়েছে মাক্স। আব্দুল বাশার নামের আরেক বিক্রেতা বলেন,আমার দূরত্ব মেনেই আছি তবে ক্রেতারা যদি না বুঝে আমরা কি করবো। আমরা চেষ্টা করি যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়। ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,পশুর হাটে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কারন এটা আমাদের নিজেদের জন্য ভালো। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।
বেশি জনসমাগম মানেই করোনার সংক্রামণের ঝুঁকি। আমরা ইতিমধ্যে হাটের ইজারাদরদের সাথে কথা বলেছি এই বিষয় নিয়ে। তারা এর পর থেকে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পশুর হাট চালাবে।
এমএস/প্রিন্স/প্রতিনিধি