জেলায় হলুদ রঙ্রে তরমুজ চাষে সফলতা অর্জন করেছেন স্থানীয় এক কৃষক আনোয়ার হোসেন। বর্তমান তার জমিতে ছোট-বড় কয়েকশ তরমুজ গাছের ডোগায় ডোগায় ঝুলছে দেখা গেছে। আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সদর দক্ষিণ উপজেলার বলরামপুর গ্রামের নিজস্ব উদ্দ্যোগে ৬০ শতাংশ জমিতে হলুদ রঙের তরমুজও চাষ করেন। উঁচু বেডের মাটি মালচিং শিট পলিথিন দিয়ে তরমুজ ঢেকে দেওয়া হয়েছে। তার মাঝে গোল করে কাটা স্থানে তরমুজ গাছ লাগানো হয়েছে। মাচায় ঝুলছে হলুদ ও কালো রঙের তরমুজ। যাতে ছিঁড়ে না যায় তাই নেটের ব্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। হালকা বাতাসে সারি সারি তরমুজ দুলছে। হলুদ রঙের সাথে কালো রঙের ব্ল্যাক সুইট-২ তরমুজও চাষ করা হয়েছে। এখানে কৃষক মার্চ মাসের ২০ তারিখে চারা লাগিয়েছেন। ১০দিন পর তরমুজ কাটতে পারবেন।
স্থানীয় কমলপুর গ্রামের মো.ইউনুস বলেন, এর আগে এ কৃষক ব্ল্যাক বেবি তরমুজ চাষ করেছিলেন। ক্ষেত থেকে তরমুজ কিনে খেয়েছিলেন। দেখতে সুন্দর ও খেতে মিষ্টি। এবার হলুদ তরমুজ চাষ করেছেন। আশা করছেন এবারের তরমুজও খেতে ভালো লাগবে। কাজী আনোয়ার হোসেন বাসসকে বলেন, বিশেষ পলিথিন দিয়ে ঢাকা বেড তৈরি করি। পলিথিনের নিচে একসাথে সার গোবর দিয়ে দেন। পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেয়ায় সার নষ্ট হয় না,একাধিকবার দিতে হয় না। এতে পোকার আক্রমণ কম হয়। মাচা তৈরি করেন। তাতে সুতা বেঁধে দেন। তরমুজ বড় হলে নেটের ব্যাগ দিয়ে সুতায় ঝুলিয়ে দেন। এবার তরমুজ হলুদ হলেও এটির ভিতরে লাল ও স্বাদে কড়া মিষ্টি হবে। তিনি আরো বলেন, প্রথমে স্থানীয় কৃষকরা তার অসময়ে এ তরমুজ চাষের বিষয়টিকে পাগলামি বলতেন। এখন ভালো ফলন দেখে সবাই তরমুজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এবার ৬০ শতক জমিতে তার এক লাখ ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। আশা করছেন ১০ লাখ টাকার বেশি তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, জমিটি পরিদর্শন করেছি। হলুদ তরমুজ চাষ কুমিল্লায় প্রথম। তার ফসল তোলার সময় মৌসুমী তরমুজ কমে আসবে। সে কারণে আনোয়ার ভালো দাম পাবে।