বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ২৯ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে যৌথসভা শেষে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তথ্য জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শুধুমাত্র বিএনপি বা নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন না। তিনি সমগ্র বাংলাদেশের নেতা ছিলেন। তিনি একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন। সেই সময় পৃথিবীর বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সত্যিকার অর্থে তাকে একজন বিপ্লবী নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। তিনি বলেন, আজকে এই মহান পথপ্রদর্শক ও বাংলাদেশের রূপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদত বার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে আমরা ১০ দিনব্যাপী অনেকগুলো কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আগামী ২৯ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত এই কর্মসূচিগুলো আমরা পালন করব।
এ সময় তিনি আরো জানান, গৃহীত কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা। অঙ্গ সংগঠনগুলো যেমন যুবদল যুব সম্প্রদায়ের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমানের অবদান তুলে ধরবে। একইভাবে ছাত্রদল, মহিলা দলসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনগুলো কর্মসূচি পালন করবেন। এছাড়া বিভিন্ন মহানগর ও জেলা পর্যায়ে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১০ মে। ১৯৮৪ সালের এই দিনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিএনপি’র প্রথম চেয়ারপারসন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আজ ২০২২ সাল। এই দীর্ঘ ৩৮ বছর তিনি বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি দেশের মানুষের ভালোবাসা নিয়ে তিন-তিনবার দলকে রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে গেছেন। তিনি সারা জীবন এই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সংগ্রাম করেছেন লড়াই করেছেন। এই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যই তিনি দীর্ঘ সময় ধরে কারান্তরীণ ও এখন গৃহবন্দী হয়ে আছেন। আজকের যৌথ সভার মাধ্যমে আমরা তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি, শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং একইসাথে তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।