আল জাজিরার নারী সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ছে বিশ্বের নির্যাতিতরা। প্রতিবাদ করছে ফিলিস্তিনিরাও, কিন্তু তাদের প্রতিবাদের ধরন একটু ভিন্ন। ফিলিস্তিনের মজলুম জনগণ নিজেদের নবজাতক কন্যা শিশুদের নাম ‘শিরিন’ রেখে সাংবাদিক হত্যার এক অভিনব প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার আরবি সংবাদমাধ্যম আল আরাবি জানায়, এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনের অন্তত তিনটি নবজাতক কন্যা শিশুর নাম ‘শিরিন’ রাখা হয়েছে। শিরিন আবু আকলেহর সাহসিকতা ও নির্যাতিতদের প্রতি তার সহযোগিতার স্মৃতি ধরে রাখতে ফিলিস্তিনিরা প্রতিবাদের এই পদ্ধতি বেছে নেন। নাবলুসে বসবাসকারী এক বাবার নাম জামাল হারবি ইমরান। তিনি তার সদ্য ভূমিষ্ঠ মেয়ের নাম রেখেছেন শিরিন। আনাদোলুকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান বললেন, ‘আলজাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহর নিহত হওয়ার খবর শুনে আমাদের ঘুম ভাঙে। এর ঠিক ঘণ্টা দুয়েক পর স্থানীয় সরকারি একটি হাসপাতালে আমার স্ত্রী একটি কন্যা শিশুর জন্ম দেন। তখন-ই আমি আমার মেয়ের নাম শিরিন রাখব বলে স্থির করি।’ জামাল হারবি ইমরান আশা করছেন, তার মেয়ে ‘শিরিন’ও আলজাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহর মতো বড় সাংবাদিক হবে।
পূর্ব নাবলুসের বালাতা শরণার্থী শিবিরে থাকেন ছায়ের দুআইকাত। শিরিন আবু আকলেহর নিহত হওয়ার দিনে তিনিও একটি কন্যা শিশুর বাবা হন। হাসপাতালে তার স্ত্রীর কোলে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তিনিও তার মেয়ের নাম রাখেন ‘শিরিন’। দুআইকাত বলেন, ‘শিরিন আবু আকলেহর কণ্ঠ শুনতে শুনতে আমরা বড় হয়েছি। সেই ২০০০ সালের ইন্তেফাদা থেকে আমরা তার নিয়মিত পাঠক ও দর্শক। আমি চাই, আমার মেয়েও সাংবাদিকতা করুক। তিনি জানান, মেয়ে ‘শিরিন’কে সাংবাদিকতা শিখতে উৎসাহ দেবেন তিনি।’ একইভাবে ফিলিস্তিনে আরেকটি নবজাতকের নাম ‘শিরিন’ রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ‘শাবাকাতুল কুদস আল ইখবারিয়্যাহ’ নামে দেশটির একটি সংবাদমাধ্যম। শাবাকাহ জানায়, শুধু তাই নয়, রামাল্লাহর একটি সড়কের নামকরণও করা হয়েছে ‘শিরিন আবু আকলেহ’র নামে। -আল আরাবি ডটকম অবলম্বনে