কয়েক দিনের বর্ষণে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর বাজারের লামাবাজারস্থ শিংরাউলি রোডের দুই পাশের বাসাবাড়িতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অনেকের বাড়িঘরে এখন নোংরা পানি। এই অবস্থায় এলাকার প্রায় ২৫/৩০টি পরিবার। এ ছাড়া নোংরা পানির মধ্যে চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে পরিবারের গুলোর। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রভাবশালীরা বাসা বাড়ি তৈরী করতে গিয়ে ড্রেন দখল করে ভরাট করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টির কারণ। প্রায় ৪ বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু পানিনিষ্কাশনব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এ কারণে বর্ষা মৌসুম এলেই এলাকার অনেকটা জুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগের শেষ নেই বাসিন্দাদের। সরেজমিনে দেখা গেছে, মোঃ মখলিছ মিয়ার ভারাটিয়া ১৩ পরিবার,সুলতান মিয়ার বাসার ৫ পরিবার, খোকন মিয়া ও সাংবাদিক আলম চৌধুরীর পরিবারসহ ২৫/৩০টি পরিবার ৫ দিন ধরে পানি বন্ধি। জলাবদ্ধতার কারণে অনেকের বাড়ির উঠোনে এমনকি ঘরের ভেতরেও জমে রয়েছে নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি। বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তাগুলোও ডুবে রয়েছে। খোকন মিয়া বলেন, ‘বাড়িতে যাওয়া-আসার রাস্তায় কোমর সমান পানি। আবার ঘরের ভেতরেও হাঁটুপানি। এই অবস্থায় বাড়িতে বাস করার মতো উপায় নাই। অতি কষ্টে ভোগান্তি নিয়ে বসবাস করছি। বছরের পর বছর সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। চেয়ারম্যান মেম্বারদের মিথ্যা আশ্বাসে দিন পার করছি। গরীবের দুঃখ বুঝার কেউ নাই। এদিকে ঘুরে দেখা গেছে, পরিবারের গুলার বাড়ির উঠোনে কিংবা রাস্তায় পানি জমে আছে। জমে থাকা পানি পচে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পরিবারগুলোর লোকজন কর্দমাক্ত নোংরা পানির মধ্য দিয়ে যাতায়াত করছে। এ ছাড়া জলাবদ্ধতার কারণে অনেকের বসতঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ছোট শিশুদের নিয়ে আতংকে দিন কাটছে। এ ব্যাপারে শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জুয়েল আহমেদ জানান, বার বার উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছি কেউই জায়গা ছাড়তে রাজি হননি। বাসা বাড়ি নির্মাণে ড্রেন বন্ধ হওয়াতে স্থানীয়রা ভোগান্তি মধ্যে রয়েছেন। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিপাত উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি এব্যপারে দ্রুত প্রযয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।