শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ছাতকের বিভিন্ন কোয়ারি থেকে লিজ ছাড়াই বালু উত্তোলন ও বিক্রির অভিযোগ নড়াইলের কালিয়ার কৃষক কায়কোবাদ সিকদার শীতকালীন উচ্চ ফলনশীল টমেটো চাষে লাভের আশাবাদী কুনিয়া বড়বাড়ির হাজী আবুল হাসেম সরকার একাডেমীর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা তারাকান্দায় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ ধনবাড়ীতে জনপ্রিয় হচ্ছে রঙিন ফুলকপি চাষ মৃৎশিল্পীদের জীবনসংগ্রাম: গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বিলুপ্তির পথে গঙ্গাচড়ায় ধামুর পূর্বপাড়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ বিনা চাষে সরিষা আবাদ রিলে পদ্ধতিতে নতুন সম্ভাবনা, আগামীতে বাড়বে আরো উৎপাদন রায়গঞ্জে দেড়াগাঁতী রুদ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৪তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা দৌলতখান সরকারি আবু আব্দুল্লাহ কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

দিনাজপুরে ঘোড়াঘাটে বিলুপ্তের পথে কুটির শিল্প

রাফছানজানী শুভ ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ক্ষুদ্র কুটির শিল্প বিলুপ্তির পথে। হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশের তৈরি বিভিন্ন দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। আদিবাসী সম্প্রদায়ের কারিগররা তাদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় তৈরি করে থাকেন এসব কুটির শিল্প। গৃহস্থালী বাড়িতে ধান, ভুট্টা, গম মাড়াই কাজে সহযোগিতায় কুলা, ডালা, খৈ-চালা, চাটাই, খোলই, ধামা, কুলা, ঝাপা, মোড়া, দোলনা সহ হরেক রকমের আসবাবপত্র সহ প্রভৃতি হস্তশিল্পীরা আমাদের প্রদান করে থাকেন। বিনিময়ে সামান্য অর্থ পেয়েই খুশি তারা। বাঁশ কে জীবিকার প্রধান বাহক হিসাবে আঁকড়ে রেখেছেন উপজেলার ৩নং সিংড়া ইউপির মাহালি পাড়া ও আবিরেরপাড়ার শতাধিক মানুষ। এই বাঁশ আর কৃষি কাজ বর্তমানে তাদের জীবিকার প্রধান বাহক। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় ভালো নেই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগররা। জীবন জীবিকার তাগিদে তবুও বাবা-দাদার এই পেশাকে এখনও আঁকড়ে ধরে আছে, “মাহালি সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের পরিবারের মানুষ ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। বর্তমানে স্বল্প দামে হাতের নাগালে পাস্টিক সামগ্রী পাওয়ায় কুটির শিল্পের চাহিদা আর তেমন নেই। তাছাড়াও দ্রব্যমূল্যের বাজারে দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে এ শিল্পের কাঁচামাল বাঁশ। এখন আর আগের মতো সহজেই বাঁশ পাওয়া যায় না। তবে এখনো তৈরি হচ্ছে বাঁশের তৈরি চাটাই, খোলই, ধামা, কুলা, ঝাপা, মোড়া, দোলনা সহ হরেক রকমের আসবাবপত্র। আবিরের পাড়া গ্রামের জাকুম টুডু বলেন, বাপ-দাদাদের আমল থেকেই এই কাজ করে আসছি আবার অনেকে এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় গেলেও আমরা ছাড়তে পারিনি। এই কাজের পাশাপাশি আমরা কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। তবে বর্তমানে বাসের দাম তো অনেক বেশি। বাসের দামের তুলনায় আমাদের আসবাবপত্রের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে তবে চাহিদাও কমেছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com