পাবনা আতাইকুলা থানার গাঙ্গহাটি গ্রামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা। আজ সোমাবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত অন্তর আর-আতাইকুলা ইউনিয়নের গাঙ্গহাটি মোল্লা পাড়ার মোঃ জালাল উদ্দিনের ছেলে।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিরুল আলম জানান, পুর্ব বিরোধের জের ধরে আজ বিকেলে অন্তর(২৮)কে প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে গুরত্বর আহত করে। আহত অন্তরকে উদ্ধার করে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে, অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পথিমধ্যে সন্ধায় অন্তর মারা যান। পরিবারের সদস্যরা নিহত অন্তরের লাশ নিয়ে পাবনায় চলে আসেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে আতাইকুলা থানায় নিয়ে আসেন। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে লাশ প্রেরন করা হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলতাব হোসেন জানান, নিহত অন্তর আওয়ামীলীগ করতেন। প্রতিপক্ষ জামাত-শিবিরের লোকজন তাকে হত্যা করেছে। গত সংসদ নির্বাচনের পর থেকে প্রতিপক্ষ হত্যাকারীদের সাথে বিরোধ চলে আসছে।
ইউপি সদস্য আরো জানায়, সোমবার বিকেলে অন্তর নিজ বাড়ীর পাশে ঘুরাঘুরি করছিল। এসময় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাজের নেতৃত্বে ১০/১৫জনের সশস্ত্র প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরত্বর জখম করে ফেলে রেখে যায়। এ সময় অন্তরের চিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা আহতকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখে রাজশাহী নেয়ার পরামর্শ দেয়। রাজশাহী নেয়ার পথে সন্ধ্যায় সে মারা যায়। রাজ এর পরিবার জামায়াত রাজনীতির সাথে জড়িত।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিরল আলম আরো জানান, অন্তরের নামে ৪টি মামলা রয়েছে। উক্ত মামলায় নিহতের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল। তদন্ত সাপেক্ষে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএস/প্রিন্স/খবরপত্র