শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন

বরিশালের নদীতে চলছে রেণু পোনা নিধন

বরিশাল ব্যুরো :
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৩ মে, ২০২২

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন নদীতে অবৈধ নেটজাল দিয়ে রেণু পোনা নিধন চলেছে। ফলে এলাকার নদী থেকে মাছ শূন্য হওয়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে। সরেজমিনে উপজেলার সন্ধ্যা, সুগন্ধা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর বিভিন্ন স্থানে নদীর ভাটা শুরু হলে রেণু সংগ্রহ করার দৃশ্য দেখা যায়। সূত্র জানায়, এসব রেনু সংগ্রহকারীরা সাতক্ষীরা থেকে বাবুগঞ্জে এসে স্থানীয়দের ছত্রছায়ায় রেণু শিকার করে। নদীতে অবৈধ মশারী জাল ফেলে হাজার হাজার ভাটা ও চিংড়ী মাছের রেনু শিকার করেন তারা। পরে স্থানীয় পুকুরে সংরক্ষণ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করা হয় এসব রেনু। জানা গেছে, জোয়ারের সময় উজানে বাগদা চিংড়ীর পোনা ও রেণু উঠে আসে। পরে ভাটার টানে উঠে আসা পোনা নদীর তীর ঘেষে নীচের দিকে নামার চেষ্টাকালে নদীতে পুঁতে রাখা পানির এক ফুট নিচে খুঁটির সাথে অবৈধ নেটে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে রেণু পোনা আটকে যায়। এছাড়া নৌকা নিয়ে চর এলাকায় ঘুরে ঘুরে রেণু নিধন করা হয়। আটকে যাওয়া এসব (মাছের বাচ্চা) রেণুর সাথে দেশীয় মাছের পোনা ও ছোট কাঁকড়াও উঠে আসে। নদী থেকে নেট উপরে (ডাঙ্গায়) তুলে আনার পর রেণুগুলো বাছাই করে নেয়া হয়। এসময় জালে আটকে থাকা ছোট ছোট মাছ ও কাঁকড়া মরে যায় বা ফেলে দিয়ে নিধন করা হয়। এতে করে নদীতে দেশীয় মাছ ও কাঁকড়া দিনে দিনে কমে যাচ্ছে বা উধাও হয়ে যাচ্ছে। দেহেরগতি ইউনিয়নের রাকুদিয়া গ্রামের বশির এর নেতৃত্বে সাতক্ষীরা তালা থানার মাছিয়ারা গ্রাম থেকে রেণু শিকারে আসা আলমগীর ও হান্নান বিশ্বাস বলেন, আমার ৫/৬ বছর যাবৎ সুগন্ধা নদী থেকে রেণু শিকার করে সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঘেরে বিক্রি করি। এটা আমরা বৈধ বলে মনে করি। অপরিকল্পিত ভাবে নদীতে রেণু ধারার নামে সকল প্রকার মাছের নিধনের কারনে এলাকার নদীতে এখন ১২ মাস আর মাছের সন্ধান মেলেনা। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, ইতিমধ্যে জেলার নেতৃত্বে বাবুগঞ্জে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আবার অতি দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে। বিভিন্ন মাছের পোনা সংরক্ষণে অবৈধ নেট জাল ব্যবহার করা দন্ডনীয় অপরাধ। এব্যপারে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com