সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
পুঁইশাক চাষে সফল সুফিয়া, আগ্রহী হচ্ছে অন্য কৃষকরাও অতিরিক্ত টোল আদায় করলেই ইজারা বাতিল-ভোলায় উপদেষ্টা সাখাওয়াত কৃতি ফিরোজীকে বাঁচাতে সাভারে চ্যারিটি কনসার্ট আওয়ামী লীগের সাথে দ্বন্দ্ব নাই, যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার চাই-আব্দুল আউয়াল মিন্টু জলঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের গণসমাবেশ সোনারগাঁওয়ে মাসব্যাপি লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব শুরু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানে ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আগৈলঝাড়া বিএনপি’র উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্তুদের অবস্থান কর্মসূচি জামালপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ ভুট্টা চাষে দেশের শীর্ষে চুয়াডাঙ্গা: ৫৯,৬৫৬ হেক্টর জমিতে আবাদ

সরকারি গাছ কেটে ১৫ লক্ষ টাকায় বিক্রির অভিযোগ

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্নেয়া ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান সরকারি রাস্তার প্রায় সাড়ে তিন শতাধীক গাছ কেটে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা বিক্রি করে আত্বসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ইউনিয়নে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ইউনিয়নের বেলাত মিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি জেলা প্রশাসক, জেলা দূর্নীতি দমন কমিশন, এডিসি রিভিনিউ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগের অনুলিপি ব্যবস্থা গ্রহনের চন্য প্রেরন করেছেন। অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, মর্নেয়া ইউনিয়নের তালপট্টি হতে কদতলী যাওয়া সরকারি রাস্তার দু-ধারে ২০০৫ সালে প্রায় সাড়ে তিন শতাধীক ইউক্যালেক্টর গাছ রোপন করেন ওই ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান সামসুল আলম। দীর্ঘ ১৬ বছরে গাছগুলো বেশ বড় হয়ে উঠে। মর্নেয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান তার কাছের লোক হিসেবে পরিচিত মাহমুদুল, রিয়াজুলসহ কয়েকজনকে দায়িত্ব দিয়ে সম্প্রতি উক্ত গাছগুলো নিয়ম বর্হিভূতভাবে কেটে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা বিক্রি করে আত্বসাৎ করেন। এ ঘটনায় ইউনিয়নে মানুষের মাঝে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠলে ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা বেলাত মিয়া গত ৫ মে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কাছে ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানসহ মাহমুদুল ও রিয়াজুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। সহকারী কমিশনার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত তহশিলদারকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। তহশিলদার নারায়ন চন্দ্র মহন্ত জানান, আমি তদন্ত করে চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানসহ মাহমুদুল ও রিয়াজুলের বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তার ৩ শত ১১টি ইউক্যালেক্টর গাছ অবৈধভাবে কেটে বিক্রি করার প্রমান পাওয়ার প্রতিবেদন দিয়েছি। এদিকে সরজমিনে গেলে ওই রাস্তার দু-ধারে করাত দিয়ে কাটা গাছের গোড়া দেখা যায়। এ সময় স্থানীয় আনেজা, সাত্তার, রাব্বি, মোসাদ্দেকসহ অনেকের গাছ কাটার বিষয় জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, গাছ কাটার লোকজনকে আমরা গাছ কেন কাটতেছেন বলে জানতে চাইলে তারা আমাদের বলেন চেয়ারম্যান জিল্লুরের নির্দেশে কাটা হচ্ছে। তারা আরো জানান, পাশের হারাগাছ পৌরসভার এলাকার ছ’মিলে নিয়ে গেছে গাছ। সাবেক চেয়ারম্যান সামসুল আলম জানান, ওই রাস্তাটি বন্যায় নষ্ট হয়ে গেলে আমি রাস্তাটি পুনরায় সংস্কার করে টেকসইয়ের লক্ষে রাস্তার দু-ধারে প্রায় ১ হাজার ইউক্যালেক্টর গাছের চারা ২০০৫ রোপন করি। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বলেন, রাস্তাটি সরকারি রেকর্ডভুক্ত না হওয়ায় ওই রাস্তার গাছ কে কেটেছে আমি জানিনা। তবে লোকমুখে গাছ কাটার বিষয়টি শুনেছি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়, কেউ বলতে পারবেনা আমি সেখানে (গাছ কাটার রাস্তায়) এখন পর্যন্ত গিয়েছি। সহকারি কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার সাহা জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। আমি প্রশিক্ষণে যাওয়ার আগে ইউএনও স্যারকে বিষয়টি অবগত করেছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com