নরসিংদীর মনোহরদীতে আওয়ামীলীগকে জঙ্গী সংগঠন হিসেবে মন্তব্য করে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেননৌকা প্রতীকের এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতিসহ সহযোগী সংগঠনের ৩৩ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে ওই চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে।মনোহরদী উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হক আকন্দের এমন কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বীরগাঁও চৌরাস্তা বাজার আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেনকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান দুলাল, সহ সভাপতি মোতাহার হোসেন টিটু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ মিয়া প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রাজ্জাক মনির জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক আকন্দ নৌকার মনোনয়ন পেয়েই বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে দলীয় লোকজনের উপর নির্যাতন শুরু করেন। সম্প্রতি বীরগাঁও বাজারে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দেশীয় অ¯্রসহসন্ত্রাসী বাহিনীআওয়ামীলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। এতে ১০-১২ জন আহত হয়েছিল। তাছাড়া কয়েকজন নেতাকর্মীর বাড়ী-ঘর ভাংচুর করা হয়।এ ঘটনায় চেয়ারম্যান এমদাদুল উল্টো ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান দুলাল, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আলফাজ মাহবুব শাকিল, মনোহরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল মিয়া, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক হুমায়ূন কবীর, চরমান্দালিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পাভেল মিয়াসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ৩৩ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নরসিংদী আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, চেয়ারম্যান এমদাদুল হক আকন্দ মামলার এজাহারে কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দকে একটি জঙ্গি সংগঠনের লোকজন বলে উল্লেখ করেছেন। এতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। চেয়ারম্যানের এমন দৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্যের বিচার দাবি করেন তারা। এ ব্যাপারে কৃষ্ণপুর ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী এমদাদুল হক আকন্দ জানান, ‘আওয়ামীলীগের কতিপয় লোক আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করা হয়েছে। তবে আওয়ামীলীগকে জঙ্গী সংগঠন বলে মন্তব্য করিনি।’