নওগাঁর সাপাহারে থানা পুলিশের অভিযানে এক বছর আগে ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িত থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের বেহুলা গ্রামের শরিফ আহম্মদের ছেলে সানিউল আওয়াল কাজল (২৪) ও একই জেলার শিবগঞ্জ থানার রাঘবপুর গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৯) নামে দুই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরের বেহুলা গ্রাম হতে সানিউল আওয়াল কাজলের হেফাজতে থাকা সাপাহার উপজেলা থেকে ছিনতাই হওয়া ডিসকভার-১২৫ সিসি মোটরসাইকেল উদ্ধার সহ সানিউল আওয়াল কাজল কে গ্রেপ্তার করেছে সাপাহার থানা পুলিশ। থানা পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গত বছর ৯ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার মাইপুর ব্রিজ এলাকায় একটি মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এসময় মোটরসাইকেল আরোহী কোচকুড়লিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে হারুন অর রশীদ ও একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম রয়েলকে মারাত্মক যখম করে তাদের নিকট থাকা ডিসকভার-১২৫ সিসি মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায় ডাকাত দলের সদস্যরা। এরপর থেকেই নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম-এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় এবং তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার সহ ওই ডাকাত দলের সদস্যদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে ব্যাপক তৎপরতা চালায় সাপাহার থানা পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ মে সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার নিশ্চিতপুর মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে উক্ত ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য আঃ জব্বাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ওই ঘটনায় জব্বার সহ কয়েকজনের সরাসরি জড়িত থাকার সত্যতা পায় পুলিশ। পরবর্তীতে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গ্রেপ্তারকৃত আঃ জব্বারের দেওয়া তথ্যমতে, ২৫ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার সভার থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ডাকাত দলের আরেক অন্যতম সদস্য আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলমগীরকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় মোটরসাইকেলটির সন্ধান পেয়ে সাপাহার থানার উপ-পুলিশ পরির্দশক (এসআই) মানিক হোসেন ও উপ-পুলিশ পরির্দশক (এসআই) মুকুল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরের বেহুলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ডিসকভার-১২৫ সিসি একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার সহ সানিউল আওয়াল কাজল কে গ্রেপ্তার করা হয়। সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের নওগাঁ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি সাপাহার সার্কেল) বিনয় কুমার বলেন, গত বছরের এই ছিনতাইয়ের ঘটনার পরপরেই আমরা ওই ডাকাত দলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করি। তাদের দেওয়া তথ্যমতে এবং তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। কিন্তু এরা সবাই এলাকার বাহিরে থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া স্যারের সার্বিক দিক নির্দেশনায় এবং তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে আঃন্তজেলা ডাকাত দলের সকল সদস্যকে সনাক্ত ও গ্রোপ্তার করা হয়েছে।