সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গায় পাথরবোঝাই ট্রাক ও লেগুনার সংঘর্ষে ৫ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। গত বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের গোজা ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানার ছোটপাকা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মকুল হোসেন (৩৫), আবুল হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (৩৪), একই থানার বাসাবাড়িয়া গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে মকবুল হোসেন (৩৫), ইজাল হকের ছেলে আব্দুল হালিম ও গুরুদাসপুর থানার জুমাইগর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে হায়দার আলী (৪০)। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান জানান, বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে যাত্রী নিয়ে নাটোরের দিকে যাচ্ছিলো লেগুনাটি। হাটিকুমরুল -বনপাড়া মহাসড়ক দিয়ে গোজা ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পাথরবোঝাই ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৪ জন নিহত ও ছয়জন আহত হন। আহতদের সিরাজগঞ্জ ও রাজশাহী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে আহতদের মধ্যে আরো এক জন মারা যান। দুর্ঘটনা কবলিত লেগুনা ও ট্রাক থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
থানচিতে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস খাদে, নিহত এক
বান্দরবানের থানচি উপজেলার জীবননগরে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৮ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা জানায়, জীবননগর সড়কের ঢালুতে পর্যটকবাহী একটি কালো রঙের মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই এক পর্যটকের মৃত্যু হয়। এ সময় আরও ৮ জন পর্যটক আহত হন। নিহতের নাম নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আহতদের মধ্যে হামিদুল ইসলামের অবস্থা সংকটাপন্ন। আহত ৫ জনকে থানচি এবং বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের উদ্ধারে কাজ করছে বিজিবি ও স্থানীয়রা। আহত পর্যটক মো. ওয়াহিদ বলেন, ঢাকা থেকে থানচিতে যাওয়ার পথে জীবননগর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাস খাদে পড়ে।
থানচি থানার এএসআই সত্যব্রত চাকমা জানান, পর্যটকবাহী গাড়ি খাদে পড়ে এক জন মারা যান। ৮ জন পর্যটক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। গাড়িটি বান্দরবান থেকে থানচি যাচ্ছিলো। প্রসঙ্গত, গত রাতে একই উপজেলার লিটক্রে সীমান্ত সড়কে চাঁদের গাড়ি উল্টে ৫ নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়।