ভারতের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকের গান শুনতে দর্শকের জনসমুদ্র হয়েছিল কলকাতার নজরুল ম । অনুষ্ঠানের হলে নানা রকমের আলোর ঝলকানি। সেসব কারণে কেকের মৃত্যুর হয়েছে বলে অনেকে দাবি করছেন। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ভারতীয় গণমাধ্যমে বলেন, ‘নজরুল মে র এসি যথেষ্ট ভালো। কিন্তু ২ হাজার ৭শ’র জায়গায় যদি ৭ হাজার লোক ঢুকে পড়ে অত্যধিক ভিড়ে গরম তো লাগবেই। শ্বাসপ্রশ্বাস নিতেও সমস্যা হবে। পাঁচিল টপকেও লোক ঢুকেছে। আটকানো যায়নি জনস্রোতকে।’ এদিকে বিবিসির একটি প্রতিবেদনে দর্শকের কাছ থেকেই নজরুল মে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠেছে। মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের কারণে দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে এসি বন্ধ রাখারও। এই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে, তদন্তে নামছে কেএমডিএ। যদিও এসি বন্ধ রাখার কথা খারিজ করে দিয়েছেন নজরুল মে র এক কর্মী। তিনি বলেন, ‘এসি বন্ধ ছিল না। কিন্তু অত ভিড়ে কাজ করছিল না এসি। দরজা খোলা থাকায়, হাওয়া বেরিয়ে যাচ্ছিল। ৭টা দরজার ৫টাই খোলা ছিল ভিড়ের কারণে।’ কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে আসা নিয়ে কেকে’র প্রবল উৎসাহ ছিলো, সেই কলকাতাতেই অনুষ্ঠান শেষে প্রয়াত হলেন। মঙ্গলবার (৩১ মে) রাতে নজরুল মে র অনুষ্ঠান শেষে হঠাৎ শরীর খারাপ। তারপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় কেকে-কে। হিন্দি, তামিল, বাংলাসহ একাধিক ভাষায় গান গেয়ে কোটি মানুষের হৃদয়ে আসীন বলিউড গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। ভক্তরা যাকে কেকে নামেই সম্বোধন করেন। মঙ্গলবার (৩১ মে) রাতে কনসার্ট শেষে সবাইকে শোকে ভাসিয়ে ৫৩ বছর বয়সে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। কলকাতার নজরুল মে গাইতে এসে অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।