ময়মনসিংহের নান্দাইলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক মোজাম্মেল হোসেন হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে অটোরিকশাটি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে হত্যাকা-ে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজনকে। জবানবন্দিতে হত্যার দায় শিকার করেছে তারা। হত্যার হওয়া সিএনজি চালক মোজাম্মেল হোসেন(২১) নান্দাইল উপজেলার সাভার গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে। শনিবার দুপুরে জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ডিবির ওসি মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নান্দাইল চৌরাস্তা থেকে যাত্রী বেশে মোজাম্মেলের সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাড়া করে ময়মনসিংহ শহরে এসে সময়ক্ষেপণ করেন হত্যাকারীরা। একপর্যায়ে মোজাম্মেলকে জিম্মি করে তার বাবা ফরিদ মিয়াকে ফোন করে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করেন। টাকা দিতে না পারায় শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মোজাম্মেলের মরদেহ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারোবাড়ি সড়কের মৃগালী এলাকায় ফেলে রেখে অটোরিকশাটি নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িত ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আবু রায়হান(২৫), মোজাম্মেল হক(১৯) ও জিয়াউর রহমান সাইদুল(২১) নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। সেই সাথে গ্রেফতারকৃত ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবু রায়হানের বাড়ি থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জানান ডিবির ওসি। উল্লেখ্য-এ ঘটনায় নিহতের বাবা ১৫ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ঈশ্বরগঞ্জ থানার একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্বভার পায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তিন মাস ২১ দিনের মাথায় শুক্রবার রাতে নিহতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ঈশ্বরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।