গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে যে কোনোমূল্যে বিএনপিকে আনতে হবে। পৃথিবীর কম দেশেই ইভিএমের ব্যবহার আছে। ইভিএমের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের আস্থা তৈরি হয়নি। ধানের শীষের ভোট ধানে শীষে থাকবে না নৌকায় যাবে সেই সম্পর্কে এখনো আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়নি ভোটারদের মধ্যে। দু’ বছর মেয়াদি জাতীয় সরকার করতে পারলে দেশে শান্তি তৈরি হবে। রোববার বিকেলে যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা গ্রামে গণস্বাস্থ্য লেবুতলা হাসপাতালের জায়গা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দারিদ্র্যতা কমবে না। আগামী জুন মাসে লেবুতলায় হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য নিয়ে গণস্বাস্থ্য ব্যবসা করে না। সরকার স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে গরিব মানুষের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। ধনী লোকের হাসপাতালের যন্ত্রাংশের ট্যাক্স যেখানে ১ শতাংশ সেখানে গরিবের চিকিৎসা সামগ্রীর ট্যাক্স ৩২ থেকে ৫৮ শতাংশ। গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এ বছর বহু মানুষ ঈদ করতে পারবে না। এ কারণে প্রত্যেকের দানের হাতকে প্রশ্বস্ত করার আহ্বান জানান তিনি। লেবুতলায় হাসপাতাল করার জন্য অরুণা খাঁ নামে এক নারী রোববার ৫৫ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন। রেজিস্ট্রি কার্যক্রমের সময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও স্ত্রী শিরিন হক উপস্থিত ছিলেন। হাসপাতালের স্থান পরিদর্শনের পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সহধর্মীণি শিরিন হক, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মনজুর কাদের আহমেদ, জমিদাতা বংশের লোক অজিত খাঁ, স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইসহক, রফিকুল ইসলাম, যশোরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান, জমিদাতা অরুণা খাঁ ও কল্পনা রানি খাঁ। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আগামী জুলাই মাস থেকে হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শুরু হবে। সেক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা চান তিনি। তিনি বলেন, লেবুতলায় নির্মিত হাসপাতালে সব ধরনের সেবার ব্যবস্থা থাকবে। স্বল্প খরচে উন্নতমানের সেবা পাবেন দরিদ্র মানুষ। আগামী বাজেট সম্পর্কে তিনি বলেন, যেখানে সেখানে বরাদ্দ দিয়ে সরকার অপচয় করছে। এই অপচয় বন্ধ করতে হবে। অপচয়ও দুর্নীতির শামিল।