শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ অপরাহ্ন

রাতে নিখোঁজ শাহাদাতের মরদেহ মিললো চট্টগ্রাম মেডিক্যালে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৬ জুন, ২০২২

লরি নিয়ে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে প্রবেশ করেছিলেন চালক শাহাদাত হোসেন। শনিবার রাতে বিস্ফোরণের পর বন্ধ হয়ে যায় তার মোবাইল। এরপর থেকেই তাকে খুঁজতে থাকেন স্বজনেরা। রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তার মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়।
শাহাদাত মীরসরাই উপজেলার ৩ নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকার ননাই মিয়া মীর বাড়ির মৃত শাহ আলমের পুত্র। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে লরি চালিয়েছেন। জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহীনুর হোসেন বলেন, শাহাদাত আমার চাচাতো ভাই। গত শনিবার লরিতে মালামাল লোড করতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির বিএম ডিপোতে যায়। সেখানে থাকা অবস্থায় রাত ১০ টার দিকে ডিপোতে বিস্ফোরনের খবর পাই। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ রয়েছে। রবিবার সকালে ডিপোতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ ছিল। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলের ১৯ নং ওয়ার্ডে তার মরদেহ শনাক্ত করা হয়। লাশ বাড়িতে আনার প্রস্তুতি চলছে। ২ ভাই ২ বোনের মধ্যে শাহাদাত বড়। ছোট ভাই আমজাদ হোসেন জোরারগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। নিহত শাহাদাতের প্রতিবেশি মুহাম্মদ হাসান জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে শাহাদাত নিখোঁজ হয়। এরপর সবাই তাকে পাগলের মতো খোঁজ করে পায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করার পর হাসপাতালের তার মরদেহ রয়েছে বলে খবর আসে। এরপর তার মরদেহ আনতে আমরা দ্রুতত সেখানে ছুটে যাই। তবে রবিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত লাশ হাসপাতাল থেকে বের করা যায়নি। এদিকে সীতাকু- ট্রাজেডিতে শাহাদাতের মৃত্যুর খবরে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো ট্রাজেডিতে আমার ইউনিয়নের শাহাদাত নামে যুবক নিহত হয়েছেন। শাহাদাতসহ ওই দুর্ঘটনায় নিহত সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com