চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকির উপর সন্ত্রাশী ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটি। (৮)জুন বুধবার) সকাল সাড়ে ১০টায় গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা আহ্বায়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলুর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্য সাকিবুল ইসলাম সাফিনের সঞ্চালনায় নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বর সম্মুখে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য সচিব আরিফুর রহমান মিরাজ, সদর উপজেলার সদস্য সচিব ইয়াসমিন সুলতানা, বাংলাদেশে ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক জামান কবির, বরিশাল জেলা সভাপতি জাবের মোহাম্মদ ও সহ-সভাপতি হাছিব আহমেদ প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু বলেন, চট্টগ্রাম বিএম ডিপোর অগ্নিকান্ডে দেশের জন্য আরেকটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। আমাদের দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি শ্রমিকরা। কিন্তু শ্রমিকদের মূল্য আমাদের দেশে কম। এর আগেও বিভিন্ন অগ্নিকান্ডে অর্ধশতাধিক শ্রমিক নিহত হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করা হয় নি। উল্টো শ্রমিকদের লাশের মূল্য ৫০ হাজার টাকা নির্ধারন করে জনগণের সাথে তামাশা শুরু করে। তিনি বলেন, গতকাল চট্রগ্রামে আহতদের দেখতে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে ছাত্রলীগের তাদের ওপর হামলা চালায়। বিশেষভাবে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি নাক এবং হাতে আঘাত পায়।। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। দেশ আজ আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কবলে পতিত রক্তাক্ত। যেকোন ন্যুনতম গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতেও সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ হামলে পড়ছে। জোনায়েদ সাকির প্রাণনাশের উদ্দেশ্য এই হামলা করা হয়। কিন্তু গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আমাদের কন্ঠ রোধ করা যাবে না। জনগণ আমাদের সাথে আছে। জনগণের কন্ঠ রোধ করার জন্য যেকোন হামলা রাজপথে প্রতিহত করা হবে। অবিলম্বে হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমাদের লক্ষ্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রুপান্তরের লক্ষ্য বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা।