বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
কিশোরগঞ্জে ভাসমান সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা চৌদ্দগ্রামে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ কালিয়ায় কন্যা শিশু দিবস পালিত ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন তারাকান্দায় ১০ গ্রেডে উন্নীতের দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি কালীগঞ্জে বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রেখে শিক্ষকদের মানববন্ধন : মিশ্র প্রতিক্রিয়া ডিমলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মিলন সম্পাদক পাভেল কালের বিবর্তনে বিলুপ্তির পথে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী কাচারি ঘর মানিকগঞ্জে সাড়ে ৪লাখ ছাগলের বিনামূল্যে টিকাদান কর্মসূচী শুরু আন্দোলনে নিহত নয়নকে বীরের মর্যাদা দেয়া হবে-দুলু

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ছুঁই ছুঁই,৬৩ চরে বন্যার আশঙ্কা

আলতাফুর রহমান আলতাফ, লালমনিরহাট
  • আপডেট সময় রবিবার, ১২ জুন, ২০২২

উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ছুঁইছুঁই। দিন দিন তিস্তা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। তিস্তায় বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এসময় ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পাউবো কর্তৃপক্ষ। তিস্তার পানি হুহু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তারচর অঞ্চলের ৬৩ চরের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাশা পাশি দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। গতকাল রোববার (১২জুন) দুপুর দুইটায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫৩ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নীচে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্র জানায়, রোববার সকাল ৬টা থেকে থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ব্যারাজ পয়েন্টে ৫২ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার, সকাল ৯ টায় পয়েন্টে ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার যাহা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুপুর দুইটায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার তীরবর্তী ৬৩ চরের নি¤œ অঞ্চলের জলাবদ্ধতার পাশা পাশি দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,চর সিন্দুর্না কমিনিউটি ক্লিনিকটি হুমকির মুখে রয়েছে যে কোন মুহুতে বড়ধরনের বন্যা দেখা দিলে নদীতে বিলিন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত বছর উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের ১নং ২নং ওয়ার্ডের চিলমারী টারীর শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে বাঁধের রাস্তায় বসতি করে বসবাস করছেন। আদিতমারি উপজেলায় মহিষখোচা ইউনিয়নের সলেডি স্পার-২ চর গোবরধন, দক্ষিণবালাপাড়া, আরাজিছালাপাক, কুটিরপাড়, চন্ডিমারী এলাকার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত ও ভাঙ্গনের আশংকা রয়েছে। তিস্তাপারের জেলে কদম আলী জানান, গত ১৫ দিন থেকে তিস্তার পানি বেশি। তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে জেলেরা কোন প্রকার মাছ ধরতে পারছে না। হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম বলেন, বন্যা কবলিত মানুষের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ছুঁই ছুঁই অবস্থান করছেন। তবে উজানের ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় তিস্তার পানি সন্ধ্যার মধ্যে কমে যেতে পারে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com