বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
কিশোরগঞ্জে ভাসমান সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা চৌদ্দগ্রামে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ কালিয়ায় কন্যা শিশু দিবস পালিত ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন তারাকান্দায় ১০ গ্রেডে উন্নীতের দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি কালীগঞ্জে বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রেখে শিক্ষকদের মানববন্ধন : মিশ্র প্রতিক্রিয়া ডিমলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মিলন সম্পাদক পাভেল কালের বিবর্তনে বিলুপ্তির পথে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী কাচারি ঘর মানিকগঞ্জে সাড়ে ৪লাখ ছাগলের বিনামূল্যে টিকাদান কর্মসূচী শুরু আন্দোলনে নিহত নয়নকে বীরের মর্যাদা দেয়া হবে-দুলু

তথ্যের গরমিল এবং অব্যবস্থাপনায় খাদ্য সঙ্কটের আশংকা

খবরপত্র ডেস্ক
  • আপডেট সময় রবিবার, ১২ জুন, ২০২২

বর্তমান প্রেক্ষাপটে তথ্যের গরমিল খাদ্য ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সংকটের কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ভাষ্যমতে, বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও কৃষিপণ্যের সরবরাহ চেইনে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটিয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ। এ মুহূর্তে আন্তর্জাতিক বাজারে কৃষি ও খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। দেশের বাজারেও এর প্রভাব স্পষ্ট। এ মুহূর্তে কৃষি উৎপাদনের সঠিক তথ্য সামনে না এলে তা দেশের চালসহ কৃষি ও খাদ্যপণ্যের সার্বিক বাজার ব্যবস্থাপনাকে আরো কঠিন করে তুলবে। কৃষি উৎপাদনের সঠিক তথ্য না থাকায় কৃষক থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। একদিকে চাষীরা তাদের উৎপাদিত ধানের কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাচ্ছেন না। অন্যদিকে নির্ভরযোগ্য তথ্যের অভাবে প্রয়োজন ও সময়মতো আমদানি হ্রাস-বৃদ্ধিসংক্রান্ত সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। চাল ও গমসহ খাদ্যশস্যের বাজারে যখন-তখন অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।
অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ বিষয়ে বলেন, সরকারি সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ের তথ্যের এ পার্থক্য এখন আগের তুলনায় বেড়েছে। গত বছর উৎপাদনের যে তথ্য দেয়া হয়েছিল তা বাস্তবতার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ ছিল না। আবার কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে সময়মতো আমদানি করা যায়নি। এতে খাদ্য ব্যবস্থাপনা, সংগ্রহ, বিপণন ও আমদানি সবদিকই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সঠিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্য যে ধরনের নিষ্ঠা প্রয়োজন, তা এক্ষেত্রে পুরোপুরি অনুপস্থিত। তথ্যের নৈরাজ্যের বড় উদাহরণ এটি। বিশ্বের সব জায়গায় যেভাবে মাঠ পর্যায়ের বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি প্রচলিত, সেটিই অনুসরণ করা যেতে পারে। একাধিক পদ্ধতি ব্যবহার করে তুলনামূলক বিশ্লেষণের মাধ্যমে আস্থাভাজন প্রাক্কলন করা প্রয়োজন। সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলে চাহিদা জোগানের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। মৌসুমি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়। এতে কৃষক-ভোক্তা উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হন। সর্বশেষ গত মাসেও খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায় বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে উৎপাদনের তথ্যে গরমিল থাকার বিষয়টি উঠে আসে। ওই সময় উঠে আসে গত অর্থবছরে দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদন নিয়ে বিবিএস ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যে গরমিলের পরিমাণ ৪০ লাখ ২০ হাজার টন। বিবিএসের তথ্যই বেশি নির্ভরযোগ্য বলে মনে করছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, বিবিএস পদ্ধতিগতভাবে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতেই কৃষির পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। সংস্থাটির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যকেই নির্ভরযোগ্য বলে ধরে নিতে হবে।
অর্থনীতির ভোগসংক্রান্ত সাধারণ একটি পর্যবেক্ষণ হলো আয় বাড়লে জনসাধারণের খাদ্যাভ্যাসে বৈচিত্র্য আসে। এর সঙ্গে সঙ্গে প্রধান খাদ্যশস্যের মাথাপিছু ভোগ ও চাহিদাও কমতে থাকে। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, দেশে মাথাপিছু আয় বাড়ছে। এর সঙ্গে সংগতি রেখে দেশে চালের মাথাপিছু ভোগও কমছে বলে সর্বশেষ খানা আয়-ব্যয় জরিপে (২০১৬) উঠে এসেছে। আবার কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বলা হচ্ছে দেশে চাল উৎপাদন বাড়ছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরেও চাল উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে মন্ত্রণালয়ের। অর্থনীতির ভোগপ্রবণতার তত্ত্ব অনুযায়ী, মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান সঠিক হলে দেশে চালের বাজার স্থিতিশীল থাকার কথা। যদিও বাজারের প্রকৃত চিত্র এর সম্পূর্ণ বিপরীত। ভরা মৌসুমেও অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে চালের বাজারদর।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বাজারে গত শনিবার সরু চালের সর্বনি¤œ মূল্য ছিল প্রতি কেজি ৬৪ টাকা। এক মাস আগেও তা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। এক বছর আগে ছিল ৫৮ টাকা। সে হিসেবে গত এক মাসে বাজারে সরু চালের দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। এক বছওে বেড়েছে ১০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। বাজারে এখন মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪৮ টাকায়। এক মাস আগে তা বিক্রি হয়েছে ৪৪ টাকায়। এক বছর আগে ছিল ৪৫ টাকা। সে হিসেবে গত এক মাসে পণ্যটির দাম বেড়েছে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ। এক বছরে বেড়েছে ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। বাজারের এ অস্থিতিশীলতায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যানগুলো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনীতির স্বাভাবিক গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী এসব পরিসংখ্যান সঠিক হলে বাজারে অস্থিরতা দেখা দিত না। মন্ত্রণালয়ের উৎপাদন তথ্যে অবশ্যই অতিরঞ্জন বা গরমিল রয়েছে। চালসহ খাদ্যশস্য উৎপাদন নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও মার্কিন কৃষি বিভাগসহ (ইউএসডিএ) দেশী-বিদেশী সংস্থাগুলোর তথ্যে এখন উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ব্যবধান দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি এক পর্যায়ে কৃষি ও খাদ্যোৎপাদন খাতে বড় ধরনের ব্যবস্থাপনাগত সংকটের কারণ হয়ে উঠছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয় চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে ৩ কোটি ৯৪ লাখ ৮১ হাজার টন। আবার ইউএসডিএর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর দেশে চাল উৎপাদন হতে পারে ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টন। গরমিল রয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরের তথ্যেও। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে দেশে চাল উৎপাদন হয়েছে ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৩৭ হাজার টন। বিবিএসের তথ্যে এর পরিমাণ ৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮ হাজার টন। আবার ইউএসডিএর পরিসংখ্যানে এর পরিমাণ ৩ কোটি ৪৬ লাখ টন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য সঠিক হলে দেশে খাদ্যশস্য আমদানির প্রয়োজনই পড়ত না বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, প্রতি বছরই চাল উৎপাদন নিয়ে তথ্যের এ গরমিল আমরা দেখে আসছি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য যদি সঠিক হতো তবে চাল আমদানির প্রয়োজন হতো না। তারা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাইয়ের ভিত্তিতে এসব তথ্য দেয় না। এক্ষেত্রে বরং ইউএসডিএ স্যাটেলাইট ব্যবহার করে যে তথ্য দেয়, সেটি বেশি গ্রহণযোগ্য। সঠিক তথ্য না থাকায় তা দেশের কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনায় সমস্যা তৈরি করছে। কারণ প্রথমে বলা হয়, আমরা চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমদানির প্রয়োজন নেই। পরে দেখা যায় চালের সংকট, ভোক্তাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সে সময় তড়িঘড়ি করে অধিক মূল্যে চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। এতে হয়তো গুটি কয়েক ব্যবসায়ী লাভবান হচ্ছেন। তবে বরাবরের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় সাধারণ ভোক্তাদের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েক বছরে দেশে চালের বাজার বারবার অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালের পর থেকে যৌক্তিক কারণ ছাড়াই চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বেশি। এক্ষেত্রেও সঠিক তথ্যের অভাব বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. এম আসাদুজ্জামান মনে করছেন, এ বিষয়ে বিবিএসের পরিসংখ্যান কৃষি মন্ত্রণালয়ের চেয়ে অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য। বলেন, বিবিএসের তথ্যগুলো অনেকটা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা। আবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যে হিসাব দেন, তা সঠিকভাবে পরিমাপ করে দেন না। তাদের তথ্যে প্রায়ই দেখা যায়, বাস্তবতার চেয়ে বেশি জমিতে বেশি ফলন হয়েছে। এজন্য বিবিএসের তথ্যটিকেই তুলনামূলক বেশি গ্রহণযোগ্য বলা চলে। প্রকৃত তথ্য পেতে হলে কৃষি মন্ত্রণালয় ও বিবিএসকে যৌথভাবে হিসাব করতে হবে। কিন্তু সমস্যা হলো এ দুই সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ের উৎপাদনের তথ্যে ব্যবধান অনেক বেশি। তথ্যে এত বেশি গরমিল থাকলে সঠিক নীতি পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায় না। এর আগে বিআইডিএসও এ-সংক্রান্ত একটি জরিপ করেছিল। সেখানেও দেখা গিয়েছে, মন্ত্রণালয় থেকে উৎপাদনের যে তথ্য আসে, প্রকৃত উৎপাদন তার চেয়ে অনেক কম। চাহিদা স্থির থাকে। আবার উৎপাদনের তথ্যে গরমিল থাকায় সরবরাহও ঠিক থাকে না। ফলে বাজারে দেখা দেয় অস্থিতিশীলতা। তিনি আরো বলেন, আগে কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা ছিল বেশি। ওই সময়ে ক্রসকাটিং সার্ভে হতো। সেখান থেকে একটা গড় হিসাব পাওয়া যেত। মতিয়া চৌধুরী কৃষিমন্ত্রী থাকাকালে নিয়মিত স্যাটেলাইটভিত্তিক ছবি নিয়ে জরিপ করাতেন। এতে আবাদি জমির সঠিক পরিমাণ সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যেত। এর সঙ্গে প্রকৃত তথ্যের সঙ্গে গরমিল থাকলেও তার মাত্রা হতো সামান্য। এখন দৈবচয়ন ভিত্তিতে ৬৪ জেলায় জরিপ হলেই হয়। খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতা দেখা যাচ্ছে কয়েক বছর ধরেই। চালের ক্ষেত্রে এ প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক হলেও নেতিবাচক গমে। আবার চাল উৎপাদন যতটুকু বাড়ছে, তা যথেষ্ট নয়। সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর আমলে গম উৎপাদন স্থিতিশীল থাকলেও বর্তমানে তা কমছে। বিষয়টি খাদ্যশস্যের আমদানিনির্ভরতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে।
মতিয়া চৌধুরী কৃষিমন্ত্রী থাকাকালে গত দশকের শুরুতে দেশে খাদ্যশস্যের আমদানিনির্ভরতার হার এক অংকে নেমে এসেছিল। গত দশকের মাঝামাঝি পর্যায়ে এসে তা কিছুটা বাড়তে শুরু করে। ২০১৭ সালের আগাম বন্যায় হাওরের বোরো ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে উৎপাদনে বড় ধস নামে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই অর্থবছর ও ২০১৭-১৮ সালে খাদ্যশস্য আমদানি ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যায়। এর পরের অর্থবছরগুলোয় প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধির কথা বলা হলেও আমদানিনির্ভরতাও ছিল অনেক। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে খাদ্যশস্যের বাজারে আমদানিনির্ভরতার হার ছিল ১৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। পরের অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ দশমিক ১০ শতাংশে। গত অর্থবছরে এর হার ছিল ১৭ দশমিক ৮০ শতাংশ। এভাবে চলতে থাকলে অদূরভবিষ্যতে আমদানিনির্ভরতার হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে ইউএসডিএর এক প্রক্ষেপণে বলা হয়েছে, আগামী অর্থবছরে দেশে খাদ্যশস্য আমদানির প্রয়োজন পড়তে পারে প্রায় এক কোটি টন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি। বর্তমান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com