এক দেশে দুই আইন চলছে এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, সংসদ সদস্য হাজী সেলিম সাজাপ্রাপ্ত হয়েও চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন তিনি আইন মেনে চলেছেন। কোন আইন মেনে চলেছেন সেটা আমরা জানতে চাই। সেটা কোন আইন যে আইনের জন্য বেগম খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা করাতে পারবে না।
গতকাল সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় খালেদা জিয়াকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে মহিলাদল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন। বেগম সেলিমা বলেন, যখন খালেদা জিয়া জেলে ছিলেন তখন আমরা বলেছিলাম তাকে তিলে তিলে মারা হচ্ছে। কিন্তু আজকে আমারা দেখতে পাচ্ছি সে কথার সত্যতা। তা না হলে আজকের প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এ রকম কথা বলতে পারেন না যে তাকে পদ্মা সেতুতে থেকে টুস করে ফেলে দেয়া হবে। এ সকল কথা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে। রাজনৈতিক শিষ্টাচার মানি বলেই আমরা অনেক কিছু বলি না।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আজকে মিথ্যে মামলায় অভিযুক্ত করে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। শুধু কারারুদ্ধ নয় আজকে তাকে চিকিৎসার কোনো সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। আমরা বারবার বলেছি তার যে চিকিৎসা প্রয়োজন এটা বিদেশে না পাঠালে সম্ভব নয়। আজকে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
তিনি আরো বলেন, আজকে তারা খালদা জিয়ার চিকিৎসা চান না। কারণ তারা জানে বেগম খালেদা জিয়া যদি বাইরে আসেন তখন কোটি কোটি লোক তার পেছনে দৌড়াবে। কারণ দেশের মানুষ একজন নেত্রীকে চিনেন তিনি হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। যিনি উন্নয়নের কর্মকার। যিনি পাঁচটি আসন থেকে জনগণের ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। সেই নেত্রীকে আজকে এই সরকার মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বাজেটের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেত্রী বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) যে দুর্নীতি করেছে সেটাকে স্বীকার করে নিয়েছে। যারা বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে তাদের সুযোগ দেয়ার জন্য আজকে সেটাকে বৈধ করার জন্য একটি প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা যদি বেগম খালেদা জিয়াকে বাইরে চিকিৎসার সুযোগ না দেন আপনার যদি থাকে বাইরের না পাঠান; তাহলে সমস্ত জনগণ রাজপথে নামবে শুধু ঢাকা শহরে নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষ রাজপথে নামবে। সেদিন আপনি বুঝবেন। আপনার পায়ের তলায় মাটি নেই বলেই জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, মহিলাদলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হেলেন জেরিন খান ও যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ প্রমুখ।