বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষদের বিনামূল্যে বীজ, সার ও কীটনাশক সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘এখনও সেভাবে বীজতলা তৈরি করা শুরু হয়নি। ফলে তেমন একটা ক্ষতি হবে না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত বীজ আছে। বীজের সংকট হবে না। পানি নেমে গেলেই বীজতলা তৈরি করতে পারবো। সার, বীজ, কীটনাশক বিনামূল্যে দেওয়া হবে।’ গতকাল মঙ্গলবার (২১ জুন) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ও মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত শিরুজিমাত সামিরের মধ্যে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ড. আব্দুর রাজ্জাক।
মন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আমরা ১ লাখ ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করি। সেই হিসেবে এখনও তেমন বীজতলা তৈরি করা হয়নি। ফলে ক্ষতির পরিমাণ কম।’ ড. রাজ্জাক বলেন, ‘এই মুহূর্তে মাঠে ধান জাতীয় কোনও ফসল নেই। তাই এ ধরনের ফসলের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না। খাদ্যের ওপর প্রভাব ফেলবে না।’ তবে শাকসবজি উৎপাদনে প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্ক করে এ ব্যাপারে কনসার্ন আছেন বলেও জানান তিনি। তিনি জানান, বন্যায় ৫-৬ হাজার হেক্টর জমির সবজির ক্ষতি হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘অস্বভাবিক বৃষ্টির কারণে সিলেটে পানি এসেছে। এখন মাঠে তেমন কোনও ফসল নেই। অনাবাদি জমি ছিল বেশি। সিলেটে ২২ হাজার হেক্টর ও সুনামগঞ্জের ২৮ হাজার হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে। এছাড়া উত্তরবঙ্গে ৫৬ হাজার হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বন্যায় আউশের ক্ষতি হবে কিছু। তবে এখনও বীজ বপনের সুযোগ আছে। নতুন করে বীজতলা ও আউশ আবাদ করে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’