ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নের ফুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার প্রায় ৯ বছর পর বিদ্যালয়ে ৩ রুম বিশিষ্ট একটি সরকারি ভবন নির্মান করা হয়। ঐ ভবনেই চলছিল বিদ্যালয়ের পাঠদান কর্যক্রম। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়। এর পর থেকে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষা কর্যক্রম ভালভাবে চললেও ২০১৯ সালের শেষ দিকে বিদ্যালয়টিতে পূর্বে ¯’াপিত ভবনটি ভেঙ্গে একই ¯’ানে নতুন ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য কোনো শ্রেণী কক্ষ না থাকায় মাঠের মধ্যে টিনের ছাউনিতে পাঠদান কর্যক্রম চলছে। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয়ে প্রায় ১২৮ জন শিক্ষার্থী ও ৪ চার জন শিক্ষকের জন্য নেই কোন বিশুদ্ধ পানির কল ও টয়লেটের ব্যব¯’া। প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পাশ্ববর্তী বাড়িতে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজগুলো সারতে হয়। শিক্ষার্থীরা বৃষ্টি এবং গরমে অ¯ি’কর পরিবেশে ক্লাস করাই স্কুলে আসার প্রতি আগ্রহ হারা”েছ। অভিভাবকরা বলছেন, প্রায় ২২ বছরের পূর্বের ভবন কেন ভাঙ্গা হল? আর শিক্ষার্থীদের যথাযথ পাঠদানের ব্যব¯’া না করে দীর্ঘদিন ধরে নতুন ভবনের কাজ চলমান দুঃজনক। প্রধান শিক্ষিকা আনোয়ারা ইয়াসমীন জানান,ভবনের কাজ চলমান থাকায় সমস্যা হলেও আমরা নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে যা”িছ। অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ফয়সাল আহম্মেদ জানান,শিক্ষাকার্যক্রম ব্যহতসহ বেশ কিছু সমস্যা বিদ্যালয়টিতে রয়েছে। আগামী মিটিংএ বিষয়টি উত্থাপনপূর্বক যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট আবেদন করব সমাধানের জন্য। বিদ্যালয়টি দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহিন আক্তার বলেন, বিদ্যায়টির নতুন ভবন নির্মানের ব্যপারে আমার কোনো কিছু জানা নেই। তবে ভবন নির্মানের সময়সীমা পার হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমাদেরকে ভবনটি এখনও বুঝিয়ে দেয়নি । যে কারনে নানা সমস্যার সৃষ্টি হ”েছ, যা আমি আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করেছি।