মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ন

দোরাইস্বামী যাচ্ছেন বৃটেনে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২

ঢাকায় নতুন ভারতীয় দূত হতে পারেন ডালেলা

বৃটেনের ভারতীয় দূতাবাসের দায়িত্ব নিতে চলেছেন বর্তমানে বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী। আর তার স্থানে বাংলাদেশে
নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত করা হতে পারে সুধাকর ডালেলা-কে। ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক রিপোর্টে এমনটাই জানানো হয়েছে।
খবরে জানানো হয়, দোরাইস্বামী ১৯৯২ সালে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগ দেন। এর আগে তিনি পেশায় ছিলেন সাংবাদিক। তিনি জানেন চীনা ভাষাও! বাংলাদেশে নিযুক্ত হওয়ার আগে তিনি উজবেকিস্তান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবও। রীভা গাঙ্গুলী দাশের উত্তরসূরি হয়ে দুই বছর আগে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার হয়ে আসেন দোরাইস্বামী। এখন তিনি লন্ডনে গায়ত্রী ইশার কুমারের উত্তরসূরি হতে যাচ্ছেন।
এদিকে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় মিশনের উপ প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুধাকর ডালেলা। ধারণা করা হচ্ছে, দোরাইস্বামীর পর তাকেই করা হবে বাংলাদেশে ভারতীয় মিশনের প্রধান। সুধাকর ডালেলা ১৯৯৩ সালে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। কর্মজীবনে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনেও কাজ করে গেছেন সুধাকর। তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালকের দায়িত্বও সামলে এসেছেন। সেখানে তার দায়িত্ব ছিল দক্ষিণ এশিয়া, চীন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে ভারতের স্বার্থ দেখা। সুধাকর বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন দোরাইস্বামী একজন পরিশ্রমী কূটনীতিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঘনিষ্ট হয়েছে। অবকাঠামো এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে দুই দেশের মধ্যে। গণহত্যার ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় ভারত দ্বিতীয়, আমেরিকার উদ্বেগ: ভারতে গণহত্যার ঘটনা ঘটার ঝুঁকি রয়েছে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন দূত রাশাদ হুসেন। গণহত্যার ঝুঁকি রয়েছে, এমন দেশের তালিকায় ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তার বক্তব্য, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার খর্বের যাবতীয় ‘উপকরণ’ রয়েছে ভারতে। রাশাদ জানান, আমেরিকা নিজেদের উদ্বেগ নিয়ে সরাসরি ভারতের সাথে কথা বলছে। ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার একটি প্যানেলে বক্তৃতা রাখার সময় মার্কিন এ কর্মকর্তা বলেন, হলোকাস্ট মিউজিয়ামের ‘আর্লি ওয়ার্নিং প্রজেক্ট’ (প্রারম্ভিক সতর্কীকরণ প্রকল্প) ভারতকে গণহত্যার ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রেখেছে। তিনি নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনের উল্লেখ করেন। পাশাপাশি খুলে আম ‘গণহত্যার আহ্বান’-এর উল্লেখও করেছেন নিজের বক্তৃতায়। তিনি বলেন, ‘আমরা গীর্জার উপর হামলা দেখেছি, ঘরবাড়ি ধ্বংস হতে দেখেছি; হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে; এমন সব বক্তব্য প্রকাশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে যা মানুষের প্রতি খুবই অমানবিক। দেশের একজন মন্ত্রী মুসলমানদেরকে উইপোকা বলে উল্লেখ করেছেন।’ রাশাদ হুসেন বলেন, যেকোনো সমাজকে মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, দলিত ও উপজাতিদের অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হলো এমন একটি দেশ, যেখানে আমাদের দেশের মতোই, আমরা জোর দিই, আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে আমরা আমাদের মূল্যবোধ অনুযায়ী বাঁচি যাতে আমরা আমাদের সম্ভাবনা পূরণ করতে পারি। এটা তখনই ঘটতে পারে যদি আমাদের পূর্ণ অংশগ্রহণ থাকে, সকল মানুষের সমান অংশগ্রহণ থাকে।’ এর আগে রাশাদের দফতর ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা’ নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছিল যা প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্তনি ব্লিনকেন। সেই রিপোর্টে ভারতে ‘মানুষ ও উপাসনালয়ের উপর ক্রমাগত হামলার’ প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছিল। যদিও ভারত সেই রিপোর্ট খারিজ করে দিয়ে এটিকে ‘ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি’ বলে উল্লেখ করেছিল। সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com