বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর এলাকায় পুলিশের সাথে ডাকাতদলের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। রোববার দিবাগত রাত (০৪ জুলাই) ১ টার দিকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার বেলা দেড়টায় নগরীর পলিটেকনিক্যাল সড়ক রোডস্থ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন বিভিন্ন পুলিশ অভিযানের তথ্য তুলে ধরে বলেন। তারা জানায় চার ডাকাতকে গ্রেফতারের পাশাপাশি বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এসময় আরও ৪-৫ জন ডাকাত সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আটককৃতরা হলো বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বলাইকাঠি এলাকার সেলিম হাওলাদার ওরফে কাটারো সেলিম(৩৮), মোঃ রফিকুল ইসলাম রানা(৩৫), পশ্চিম চরমাদ্দি এলাকার মোঃ মিজান ওরফে নিজাম হাওলাদার(৪২) ও বরগুনা জেলা সদরের বড়ইতলা এলাকার মোঃ বারেক সিকদার(৩৭)। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটার গান, ৫ রাউন্ড কার্তুজ, ১টি ছোরা, ১টি বগি দা, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ১ টি স্ক্রু ড্রাইভার, ১টি সেলাই রেঞ্জ, ১টি টর্স লাইট, ৫ টুকরা রশি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর খাঞ্জাপুর ও ইল্লা নামক এলাকার মাঝে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে একদল ডাকাত-এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে গিয়ে গৌরনদী মডেল থানার পুলিশ ডাকাতদলকে ঘিরে ফেলে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল গুলি ছুড়ে পালানের চেষ্টা চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালিয়ে চার ডাকাতকে গ্রেফতার করে। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চার ডাকাতকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ডাকাতদলের সদস্যদের গ্রেফতারের পূর্বে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে যায় তারা। সাথে সাথে পুলিশকে লক্ষ করে ডাকাতদলের সদস্যরা গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এসময় কয়েকজন ডাকাত সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষমও হয়। গ্রেফতারের সময় পুলিশ সদস্যদের কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা সকলে আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাদের নামে বরিশাল,বরগুনা ও পিরোজপুরের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। যার মধ্যে সেলিম হাওলাদার ওরফে কাটারো সেলিমের বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানা, কাউনিয়া থানা, এয়ারপোর্ট থানা এবং জেলার উজিরপুর ও বাকেরগঞ্জ থানায় ৯ টি মামলা রয়েছে।