কৌশলগত লিসিচানস্ক শহর দখলের পর রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস এলাকার আরো গভীরে আক্রমণ জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু এক বৈঠকে পুতিনকে জানান, মস্কো বাহিনী এখন লুহানস্ক অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তিনি বলেন, লড়াইয়ের যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে- তাতে এই যুদ্ধে কোন ছাড় দেয়া হবে না। রাশিয়া এখন গোটা দোনেস্ক অঞ্চলের দিকে দৃষ্টি দেবে- একথা উল্লেখ করে পুতিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে বলেন, এখন যেখানে রাশিয়ান বাহিনী অবস্থান করছে সেখান থেকে তাদের অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। পুতিন বলেন, পূর্ব গ্রুপ এবং পশ্চিম গ্রুপসহ সামরিক ইউনিটগুলো পূর্বে অনুমোদিত পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি যে, সবকিছু তাদের দিক থেকে চলতে থাকবে, এখন পর্যন্ত যেমনটি ঘটেছে লুহানস্কে।’ এদিকে, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রোববার বলেছে, তারা সৈন্যসংখ্যা এবং গোলাবারুদে রাশিয়ান বাহিনীর তুলনায় গৌণ হয়ে পড়ায়, সৈন্যদের জীবন রক্ষার জন্য লিসিচানস্ক থেকে পিছু হটেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার নিয়মিত রাতের ভাষণে রাশিয়ান বাহিনীর হামলার তীব্রতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘শত্রুবাহিনী সুমি সীমান্ত অঞ্চল, খারকিভ সিটি এবং ডনবাস অঞ্চলে সন্ত্রাস অব্যাহত রেখেছে।’ তিনি বলেন, ‘তাদেরকে হটাতে হবে। কঠিন কাজটির জন্য প্রয়োজন অতি মানবীয় প্রচেষ্টা। তবে আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই।’ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পাঁচ মাসে পড়েছে। ইউক্রেন সুইজারল্যান্ডে এক পুনর্গঠন সম্মেলনে সোমবার বলেছে, দেশ পুনর্গঠনে ৭৫০ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে।