বাগেরহাটের চিতলমারীতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বসতবাড়ীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় ৫লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ৮জুন শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার বড়বাড়িয়া নতুন পাড়া গ্রামের যুদ্ধকালিন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী বদিউজ্জামানের বসতবাড়ীতে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানাগেছে। হামলা কারীরা বসতঘর ভাংচুর করে, ঘরে থাকা নগত অর্থলুট এবং বাগানের প্রায় দুই হাজার কলাগাছসহ ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। শহীদ মুক্তি যোদ্ধার কন্যা নারগিস পারভীন পারুল ও তার মা’ ফজিলাতুনন্নেছা সরেজমিনে সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। ভুক্তভোগি পরিবার জানান, জায়গাজমি সংক্রান্ত পুর্বশত্রুতারজের ধরে ৮ জুন শুক্রবার সকালে স্থানীয় ঘোলা গ্রামের মৃত: দলীল উদ্দীন শিকদারের ছেলে কদম আলী শিকদারের নের্তৃত্বে দুর্বৃত্তকারি দলের ইব্রাহিম, বেদার শিকদার, মিন্টু শিকদার, ফহম উদ্দীন সহ শতাধিক দুর্বৃত্ত দা’ লাঠি, সাবল, টেটাঁ ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত তাদের বাড়ীতে প্রবেশ করে। এসময় বাড়ীতে থাকা মহিলাদের মারপিট এবং ঘর-দরজা ভেঙ্গে নগত অর্থ লুটকরে। বাড়ী-ঘরে তান্ডবের পর পাশের বাগানের প্রায় দুই হাজার কলাগাছ কেটে নিধণ করে। সেখানে কাঁটার বেড়া দিয়ে উক্ত জায়গা দখল নেয়ার চেষ্টা করে। ঘন্টা ব্যাপি তান্ডব চালিয়ে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করলেও পরিবারটি আতঙ্কিত হয়ে টু শব্দটি করতে সাহস পায়নি বলে জানান। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী বদিউজ্জামানের স্ত্রী ফজিলাতুনন্নেছা আরো জানান, ১৯৭১ সালে যুদ্ধকালিন সময়ে খান সেনারা তার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করে। তারা সরকারী ভাতা প্রাপ্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। দেশেও জাতির জন্য তার স্বামীর অবদান রয়েছে অপরীসীম। কিন্তু তার সংসারে প্রতিবাদী কোন পুরুষ সন্তান নেই। তিনি এব্যপারে মাননীয় এমপি মহোদয় জননেতা শেখ হেলাল উদ্দীনের সদয় দৃষ্টি এবং স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে প্রতি পক্ষ কদম আলী শিকদারের ভাই দীন মোহম্মাদ শিকদার জানান, বড়বাড়িয়া মৌজার ওই সম্পত্তি চিতলমারী সাব রেজি: অফিসের ৪৪৯,২৯০,১৭০৮,৪৪৮ নং দলিল মুলে তাদের ক্রয়কৃত। জমি নিয়ে আদালতে উভয় পক্ষের মামলা চলমান। তারা যে অভিযোগ করেছে তা সত্যনয়। চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ এএইচএম কামরুজ্জামান মুঠোফোনে জানান,বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের আদালতে মামলা চলামান। মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটালে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।