নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো ক্ষমতাই নেই, তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারই হচ্ছে মূল বিষয়। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, সেটা আমরা দেখেছি। তাহলে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে গেলেই বা কী, আর না গেলেই বা কী। গতকাল রোবাবর (১৭ জুলাই) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, দেশের মূল সংকট হলো গণতন্ত্র নেই। নির্বাচন একটা ফার্স্ট ডোর ফর ডেমোক্রেসি। সেই জায়গায় আজকে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চারটা নির্বাচন হয়েছে, যা নিয়ে বিতর্ক হয়নি। চিরকাল ক্ষমতায় থাকার জন্যই তারা (আওয়ামী লীগ) দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করছে। এটা সত্য কথা যে পৃথিবীর বহু দেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। সেটা কোথায় হয়? যেসব দেশ গণতান্ত্রিকভাবে অনেক অভিজ্ঞ, ২০০-২৫০ বছর ধরে গণতন্ত্রের চর্চা চলছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, যেখানে দেশের মানুষ চায় না এই ইসির অধীনে কোনো নির্বাচন হোক, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হোক। সে কারণে আমরা এই ইসির সংলাপই বলেন, আলোচনা বলেন, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্যই করি না। কারণ এই ইসির অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে, তা আমরা বিশ্বাসই করি না। সরকার যদি পরিবর্তন না হয়, নিরপেক্ষ সরকার যদি না আসে, তাহলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল কদ্দুস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, অ্যাডভোকেট বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন, দলের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, সহ-গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ।