জমি সংক্রান্ত কারণে পূর্ব বিরোধের জের ধরে বাড়ীর উঠান ও অতি সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি ভাবে ইটের সলিং করা চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে সীমানা দেওয়াল তৈরি করে অমানবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অভিযোগ রয়েছে সোনাগাজীর চর মজলিশপুর ইউনিয়নের চান্দলা গ্রামের (বড় বাড়ীর অধিবাসী) প্রভাবশালী জনৈক আবুল কালাম ভূঞা গং এর বিরুদ্ধে। উক্ত অবৈধ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখায় প্রতিপক্ষ নুর মোহাম্মদ গং সহ ৩টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র পথ বন্ধ হওয়ায় পরিবারগুলো অবরুদ্ধ হওয়ার পথে। সরেজমিন পরিদর্শন, বিরোধী দু’পক্ষের সাথে আলোচনা ও নুর মোহাম্মদ পিং-মোঃ মুসলিম এর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিপক্ষ আবুল কালাম ভূঞা ও আবুল কাশেম ভূঞা, উভয় পিং-বদিয়ার জামান ভূঞা, মোঃ হাছান, মোঃ হাসনাত ও মোঃ মুরাদ পিং- আবুল কালাম, সর্ব সাং চান্দলা (বড়বাড়ি) কুঠিরহাট, সোনাগাজী, ফেনী। উল্লেখিত বিবাদীগণ দুষ্ট প্রকৃতির, জোর জুলুমবাজ ও পরবিত্তলোভী এবং শান্তি ভঙ্গকারী। কোন ধরনের আইনকানুন ও বিচারের তোয়াক্কা করেনা। নুর মোহাম্মদ ও নুর করিম জানান, চান্দলা মৌজার সাবেক ৩৯৪ এবং ৩৯৮নং খতিয়ানের সাবেক ৪৫২ দাগ শ্রেণী বাড়ী স্বরুপে ৩০শতক ভূমি সহ অপরাপর কতেক ভূমি সহ একুনে ৬১.৬২ শতক ভূমি বিগত ৩০/০৪/৬৬ ইং তারিখে রেজিস্ট্রিকৃত ৩৩৭৪ নং দানপত্র দলিল মূলে মালিক দখলকার থাকিয়া কতেক অংশে বসতবাড়ী, রান্নাঘর, গোয়ালঘর এবং টিউবওয়েল নির্মাণক্রমে দীর্ঘদিন তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখলে আছেন। এক্ষনে নুর মোহাম্মদ গংয়ের মালিকীয় উক্ত ৪৫২ দাগের ৩০শতক ভূমির মধ্যে ৩শতক ভূমি উল্লেখিত প্রতিপক্ষগণ গায়ের জোরে বেদখল করার চেষ্টা করিতেছে। নুর মোহাম্মদ গং বাঁধা প্রদান করিলে আবুল কালাম ভূঞা গং তাদের হুমকি ধমকি দিয়ে ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানি করিতেছে। এছাড়াও প্রতিপক্ষগণ বিগত ১২/০৭/২০২২ ইং রাত সাড়ে ১০টায় নুর মোহাম্মদ’র পুত্র নুর করিমকে মারধোর করে ও তাদের কর্মকা-ে বাঁধা না দিতে হুমকি-ধমকি প্রদান করেন। এই ঘটনায় নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও প্রতিপক্ষগণ প্রভাবশালী হওয়ায় কোন প্রতিকার পাননি বলে জানান। প্রতিপক্ষ আবুল কালাম ভূঞা গং এর অব্যাহত হুমকি ধমকি-ধামকির কারণে নুর মোহাম্মদ গং চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন এবং প্রতিপক্ষ কর্তৃক অবৈধভাবে চলাচলের পথ বন্ধ করে নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর অপসারণ করে চলাচলের রাস্তা (যাহা সাম্প্রতিক সময়ে এডিবির অর্থায়নে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ রিয়াদ কর্তৃক সলিং করা হয়) রাস্তাটি উম্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য মাননীয় জেলা প্রশাসক ফেনী সহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাড়ীর লোকদের চলাচলের পথ বন্ধ করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের মতো অমানবিক কাজ কেন করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম ভূঞার ছেলে মোঃ হাসনাত ও তার ভাই আবুল কাশেম ভূঞা প্রতিবেদককে জানান- পারিবারিক পূর্ব বিরোধের জের ধরে তাদের নিজ মালিকীয় জায়গায় তারা এই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছেন এবং যেকোনো মূল্যে এটার নির্মাণ সম্পন্ন করবেন। বাড়ীর লোকজনের চলাচলের জন্য সরকারি টাকায় ইটের সলিং করা রাস্তাটি সকলের জন্য উম্মুক্ত করার দাবিতে ও প্রতিপক্ষের লোকজন কর্তৃক হুমকি-ধমকি দিয়ে হয়রানি করায় প্রতিকার প্রার্থনা করে ফেনীর আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নুর মোহাম্মদ গং।