শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তা প্রশস্ত করণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বালুর স্থলে দেওয়া হচ্ছে মাটি, আর খোয়া ও বালির মিশ্রনে মানা হচ্ছে না কোন নিয়মনীতি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দাবী সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে কাজে অনিয়ম পেয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। পুনরায় সিডিউল অনুযায়ী কাজ করানো হচ্ছে।
শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যসহকারী রবিঊল ইসলাম ও গঙ্গানগর বাজার এলাকার জামাল হোসেন, ব্যবসায়ী রুবেল মাদবরসহ বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরে শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার গঙ্গানগর বাজার থেকে লাউখোলা রাস্তায় ২৫০ মিটার ৫ ফুট করে রাস্তা প্রশস্ত করণ ও জাজিরা উপজেলার লাউখোলা বাজারের নিকট ৫০০ মিটার রাস্তা প্রশস্ত করনের কাজের টেন্ডার আহবান করে শরীয়তপুর জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সর্বনি¤œ দরদাতা হিসাবে ৫০ লাখ টাকা ব্যায়ে কাজটি পায় ঢাকার আবেদ মুনসুর নামের একজন ঠিকাদার। সে কাজ টি আবুল খায়ের বেপারী ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সহ সম্পাদক ওমর ফারুক পাংকু সাব-ঠিকাদার হিসাবে কাজটি পান। সিডিউল অনুযায়ী ২৮টি গর্ত করে রিজিট ৮টি বালু ১২টি ও সাব বেইচ ৮টি করে কাজ করার কথা রয়েছে। কিন্তু সেখানে সঠিক গর্ত না করে মাটি দিয়ে গর্তের অধিকাংশ জায়গা ভরাট করা হচ্ছে। মানা হচ্ছে না কোন নিয়ম নীতি। তাই শরীয়তপুর জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ মৌখিক নির্দেশনায় কাজটি বন্ধ করে দেয়। পরে আবার গতকাল সোমবার থেকে সাব ঠিকাদারের লোকজন পুনরায় কাজটি শুরু করে। আগের মালামাল দিয়ে কাজ শুরু করেছে। নি¤œ মানের কাজ ও সিডিউল অনুযায় কাজ না করায় স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় নাসির উদ্দিন, ব্যবসায়ী শাজাহান বলেন, আমাদের গঙ্গানগর বাজার ভায়া লাউখোলা রাস্তার কাজে ঠিকাদার বেশ অনিয়ম করছে। আমরা বিষয়টি সড়ক ও জনপথকে জানালে তারা কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। এখন আবার নতুন করে কোন পরিবর্তন ছাড়াই কাজ শুরু করেছে। কাজে অনিয়মের কথা স্বীকার করে শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যসহকারী রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা কাজে অনিয়ম পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেই। নিয়ম অনুযায়ী কাজ না করলে চলবে না আমরা ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ বুঝে নিব। ঠিকাদার ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সম্পাদক ওমর ফারুক পাংকু বলেন, আমরা পুরা পুরি সিডিউল অনুযায়ী কাজ করছি কোন রকম অনিয়ম করছি না। আমাদের বিরুদ্ধে অনেকে ষড়যন্ত্র করছে। শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা তাদের কাজের কিছু অনিয়ম পেয়েছিলাম। সেগুলো পরিবর্তন করে শরীয়তপুর ০১ আসনের এমপি সাহেবের নির্দেশে এখন পুরাপুরি নিয়ম মেনে কাজ করাচ্ছি।